সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি, সপ্তাহে এক বা দুদিন করে রাজ্যজুড়ে পূর্ণ লকডাউন। এসব সত্ত্বেও যেন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না সংক্রমণ। বরং গত কয়েকদিনের তুলনায় বুধবার আরও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। ভাইরাসকে হারিয়ে বেশিরভাগ মানুষ ঘরে ফিরছেন ঠিকই, কিন্তু ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানো যাচ্ছে না কোনওমতেই। গত কয়েকদিনের মতো এদিনও করোনাজয়ীর তুলনায় বেশি সংক্রমিত।
এদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১০৭ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতায় আক্রান্ত ৫৫৪ জন। যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তাতেও তিলোত্তমাকে ছাপিয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সে জেলায় ৫৭০ জনের শরীরে থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। তালিকায় এরপরই রয়েছে হুগলি (১৫৬), পশ্চিম বর্ধমান (১৫৫) ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা (১৫২)। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৩। এই সংখ্যা উদ্বেগজনক হলেও অবশ্য বর্তমানে অ্যাকটিভ কেস অনেকটা কম। এখন অ্যাকটিভ কেস ২৩ হাজার ৩৪১।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর আরও কড়া পুলিশ, দুর্গাপুজো নিয়ে ভুয়ো পোস্ট করে গ্রেপ্তার ২ যুবক]
যত সময় গড়াচ্ছে, জাগছে করোনার ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা। তবে এর মধ্যেও সারা বিশ্বেই এই মারণ ভাইরাস এখনও মানুষের প্রাণ কেড়ে চলেছে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাও। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের। ফলে বাংলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৩,৭৩০ জন। তবে এতকিছুর মধ্যেও স্বস্তি দিচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার। একদিনে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯৬৭ জন। যদিও সংখ্যাটা গতকালের তুলনায় কম। বাংলায় এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯২ জন। সুস্থতার হার বেড়ে ৮৫.৭৬ শতাংশ।
লকডাউন, সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের পাশাপাশি ট্রেসিং, ট্র্যাকিং ও টেস্টিংয়ের মাধ্যমে দ্রুত করোনা রোগীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে দ্রুত আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। তাই রোজই অল্প অল্প করে বাড়ছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার ৬৪২টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। রাজ্যে এখনও অবধি মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯৩৬টি।