দীপঙ্কর মণ্ডল: দেশের নানা প্রান্তের পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ছড়িয়ে আছে সতীর একান্ন পীঠ। শুধু ইচ্ছা বা সামর্থ্য থাকলেই হবে না, সব তীর্থে পোঁছানো বিস্তর হ্যাপা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যার অনেকটা সুরাহা করছেন। একান্ন পীঠের আদলে একই এলাকায় আলাদা আলাদা মন্দির তৈরি হবে তারাপীঠে। এর জন্য তারাপীঠে বেশ কয়েক একর জমি চিহ্নিত হয়েছে।
[শীতের কলকাতায় নয়া অতিথি, ওয়াটার-ট্যাক্সি চেপে গঙ্গাবক্ষে ভ্রমণের সুযোগ]
নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসন এবং তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ মিলিতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে। নবান্নের কর্তারা জানান, এটি সরকারের একটি মেগা পরিকল্পনা। কিংবদন্তি, পুরাণ এবং ধর্মীয় রীতি মেনে সতীর একান্ন পীঠের রেপ্লিকা এক জায়গায় তৈরি করা খুব সহজ কাজ নয়। এর জন্য প্রচুর অর্থ প্রয়োজন, তার চেয়ে বড় যা লাগবে তা হল নিষ্ঠা। তারাপীঠ মায়ের সিদ্ধপীঠ হিসাবে পরিচিত। রোজ এখানে অগুনতি পুণ্যার্থীর ভিড় হয়। দেশ-বিদেশের হাজার, হাজার দর্শনার্থী প্রতিদিন অন্নভোগ গ্রহণ করেন। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বন দফতরের একটি জমি বাছা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে সেই জমিতে একান্নপীঠের মন্দিরগুলির রেপ্লিকা তৈরি হবে।”
[এবার তারাপীঠ শ্মশানেও সাধুদের আধার, ভোটার কার্ড বাধ্যতামূলক]
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর আদি বাড়ি এবং মাতুলালয় বীরভূমের রামপুরহাটে। জেলার প্রতিটি এলাকা তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন তাও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিবছর ভারত-সহ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানে শক্তিপীঠ দর্শনের জন্য আবেদন আসে। আইনি কারণে অনেক সময় অনুমতি মেলে না। বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা খতিয়ে দেখে অনেকে বিদেশ সফর বাতিল করেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই সমস্যাগুলি অজানা নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তারাপীঠ মন্দির ও সংলগ্ন এলাকা আমূল বদলে গিয়েছে। উন্নয়ন ও সৌন্দর্যায়নের কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন বীরভূমেই একান্নপীঠের মন্দিরের রেপ্লিকাগুলি তৈরি হোক। ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। প্রতিটি মন্দিরে পুজোও দেওয়া যাবে। বীরভূমের জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী এ প্রসঙ্গে জানন, “বিষয়টি এখনও প্রাথমিকস্তরে আছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে সার্থক করতে আমরা উন্নয়ন পর্ষদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.