সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওহরলাল নেহরুর স্মৃতিতে আজ দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে শিশু দিবস। কিন্তু আগামী প্রজন্মের প্রয়োজন গাছের। কারণ নগরায়নের নামে কেটে নেওয়া হচ্ছে বনভূমি। ফলে শিশুদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। সুস্থ প্রজন্ম পেতে ২০১৯-এর শিশু দিবসে গুগল তার হোমপেজ সাজাল এক অসাধারণ ডুডল দিয়ে। যাতে দেখা যাচ্ছে গাছ হাঁটছে, নিজেকে বাঁচানোর স্বার্থে, মানুষের ইচ্ছে পূরণের লক্ষ্যে।
গুগলের তরফে জানানো হয়েছে, শিশু দিবস উপলক্ষে ডুডলের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল ওয়েব সার্জ ইঞ্জিন। ভারতের ১.১ লক্ষ খুদে সেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এরা সকলেই প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। শিশু দিবসের ডুডলে দিতে হবে নিজেদের ইচ্ছে মতো ভাবনার ছবি, এই ছিল প্রতিযোগিতার বিষয়। বহু ছবি জমা পড়ে। গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জমা পড়া ছবি গুলিতে কেউ বা টেকনোলজির সাহায্যে বাধাহীন উড়তে চেয়েছে। কেউ বা সমুদ্রকে দূষণ মুক্ত করতে চেয়েছে। প্রত্যেকটি ভাবনাই নজর কেড়েছিল। তবে শেষপর্যন্ত সেরার শিরোপা জিতে নিল হেঁটে চলা গাছ। গুরুগ্রামের দিব্যাংশি সিঙ্ঘলের আঁকা এই ছবিটিই বেঝে নিল গুগল। নিজের ছবিতে গাছ বাঁচিয়ে সভ্যতার এগিয়ে চলার সুযোগ করে দিয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুলের এই ছাত্রী। আর সেরা ডুডল নির্বাচনে বিচারকরা তাকেই বেছে নেন।
[আরও পড়ুন :শবরীমালায় মহিলাদের ভাগ্য ঝুলে সুপ্রিম কোর্টে, মামলা গেল বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে]
মাস তিনেক আগে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল গুগল। প্রতিযোগিতার থিম ছিল, ‘যখন আমি বড় হব’। থিমে বাজিমাত করতে দেশের ৫০টি শহরের খুদেরা অংশগ্রহণ করে। আর তাদের সৃজনীর বিচার করতে গুগল ডাকে ছোটা ভীমে’র জনক রাজীব চিলাকা’কে, ছিলেন ভারতের অন্যতম মহিলা ইউটিউবার প্রযাক্তা কোহলি, নেহা ডুডলসের প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রখ্যাত শিল্পী নেহা শর্মা। সঙ্গে গুগুল ডুডলের গোটা টিম। অভিনব ভাবনা, শৈল্পিক মেধা ও থিম শিরোনামের সঙ্গে সাদৃশ্য আছে এমন ছবিকেই বাছার তালিকায় রাখার কথা ছিল।
তার মধ্যে ২০জনকে নির্বাচন করেন বিচারকমণ্ডলী। তাঁদের আঁকা ছবি গুলি ভোটের জন্য পাঠানো হলে দেখা যায় ৬ লক্ষ জনতা ভোট দিয়ে পাঁচজনকে দলগতভাবে সেরার তকমা দিয়েছে। এরপর বিচারকরা ওই পাঁচজনের মধ্যে দিব্যাংশিকে সেরা হিসাবে বেছে নেন। তার আঁকা ছবিটিই আজকের শিশু দিবসে গুগলের ডুডল।