দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বৃদ্ধা মাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের কামরাবাদ এলাকায়। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
বহুবছর ধরেই কামরাবাদের ওই বাড়িতে থাকতেন কাননবালা কর্মকার নামে ওই বৃদ্ধা। একই জায়গায় পাশাপাশি পরিবার নিয়ে থাকতেন তাঁর ৪ ছেলে। তবে ১৮ বছর আগে স্ত্রী ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে একাই ছিলেন বৃদ্ধার বড়ছেলে বছর ষাটের তারকনাথ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ৪ সন্তানের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল কাননবালা দেবীর। তবে বড়ছেলে তারকনাথ বরাবরই ভাইদের তুলনায় মায়ের সঙ্গে বেশি দুর্ব্যবহার করত। কারণ, তার অনুমান ছিল যে মায়ের অত্যাচারের কারণেই স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে গিয়েছে। সেই সঙ্গে জাদুটোনা করে মা তাকে আটকে রেখেছেন বলেও মনে করত তারকনাথ। প্রায়ই মায়ের সঙ্গে তা নিয়ে অশান্তিও করত।
[আরও পড়ুন: দিল্লির হিংসায় আক্রান্তদের মধ্যে সংখ্যালঘুই বেশি, রাজধানীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন অমর্ত্য সেন]
রবিবার সকালে ফের মায়ের সঙ্গে বচসা বাঁধে তারকনাথের। অভিযোগ, সেই সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে ওই প্রৌঢ়। বৃদ্ধার চিৎকার শুনের ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরাই ধরে ফেলেন তারকনাথকে। খবর পেয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারকনাথকে। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান হেমন্ত বোস বলেন, খুনের ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক অশান্তির কারণে বৃদ্ধা মাকে খুন করেছে এক প্রৌঢ়।