পৌলমী সরকার। নিজস্ব চিত্র
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: অসুস্থ বাবা। মায়েরও শারীরিক কিছু সমস্যা রয়েছে। অভাব নিত্যসঙ্গী। এহেন পরিবার থেকে উঠে এসে মাধ্যমিকে ৬৩৯ নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আলিপুরদুয়ারের পৌলমী সরকার। তবুও উচ্চশিক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে দুশ্চিন্তার মেঘ।
আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জটেশ্বর দেশবন্ধু পাড়ার পৌলমী এবার মাধ্যমিক দেয় জটেশ্বর উচ্চবালিকা বিদ্যালয় থেকে। মেধাবী এই ছাত্রীর বাবা পরিতোষ সরকার অসুস্থ। ২০১৭ সালে দুটি কিডনি (Kidney) নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। স্ত্রী নিজের একটি কিডনি দিয়ে প্রাণ বাঁচান স্বামীর। সেই থেকেই কাজ করতে পারেন না পরিতোষ। সেলাই মেশিনে কাজ করে সামান্য আয়ে সংসার চালান পৌলমীর মা। সদ্য কিশোরী সেই জীবনসংগ্রাম দেখেছে কাছ থেকে। হয়তো সেই সংগ্রামই স্বপ্ন দেখার শক্তি জুগিয়েছে তাকে।
পৌলমীর ইচ্ছা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে চিকিৎসক হওয়ার। মাধ্যমিকে দুরন্ত ফল করে সেই স্বপ্নের দিকে এক ধাপ এগিয়েছে কিশোরী। কিন্ত অর্থকষ্টের তীব্রতা এখনও ভাবাচ্ছে। মেয়ের সাফল্যের মাঝেও তার বাবা-মায়ের চিন্তা তার পড়াশোনার খরচ জোগাড় হবে কোথা থেকে।
এদিকে পৌলমীর গৃহশিক্ষক সৌভিক দাস বলছেন, “পৌলমী খুবই মেধাবী। পড়াশোনার জন্য আমার তরফ থেকে যতটা সম্ভব সাহায্য করি। আগামী দিনেও করব। ভবিষ্যতে পৌলমী আরও ভালো ফল করবে আশা করি।” পরিবার ও স্বজনবন্ধুরা সকলেই খুশি পৌলমীর সাফল্যে। কিন্তু আগামিদিনে পড়াশোনা চালাবে কী করে এই চিন্তাই সেই সাফল্যের মাঝে কাঁটা হয়ে রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.