Advertisement
Advertisement

Breaking News

Online examination

বেতন বকেয়া, অনলাইন পরীক্ষা দিতে পারল না বারাকপুরের ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের একদল পড়ুয়া

স্কুল কর্তৃপক্ষের সাফাই, সার্ভার সমস্যার জন্যই পরীক্ষায় বসা যায়নি।

A group of students of private school at Barrackpore couldn't sit for online exam as monthly payment is due| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 22, 2020 1:46 pm
  • Updated:September 22, 2020 4:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাকি মাস মাইনে। আর তাই অনলাইন পরীক্ষায় (Online Examination) বসতে পারল না বারাকপুরের এক নামী বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যমের পড়ুয়ারা। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ল পড়ুয়া, অভিভাবকদের মধ্যে। যদিও স্কুলের অধ্যক্ষের সাফাই, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপে লগ-ইন সমস্যা নিতান্তই ‘সার্ভার প্রবলেম’। কিন্তু অভিভাবকদের প্রশ্ন, তাহলে কেন লগ-ইন বকেয়া মেটানোর বার্তা আসছে? এতে কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে পড়ুয়াদের একাংশ।

করোনা আবহে স্কুল বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পরীক্ষা হচ্ছে বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বারাকপুরের (Barrackpore) এই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলটিও তার ব্যতিক্রম নয়। সোমবার থেকে হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা অনলাইনে হওয়ার কথা ছিল এখানে। কিন্তু একদল পড়ুয়া ও অভিভাবকের অভিযোগ, পরীক্ষার জন্য অ্যাপে লগ-ইন করলে দেখানো হচ্ছে, পেমেন্ট ডিউ। অর্থাৎ বকেয়া বেতন না দেওয়ায়, অনলাইন পরীক্ষায় বসার অনুমতি মিলছে না। সোমবার তাই পরীক্ষা দিতে পারল না বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। মঙ্গলবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিভাবকরা আপত্তি তুলতে থাকেন। লকডাউনে স্কুলের বেতন দিতে পারেননি তাঁদের একাংশ। তাহলে কি সন্তানরা হাফ ইয়ারলি পরীক্ষা দিতে পারবে না? এই প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বেধড়ক মার, মাথা থেঁতলে যুবককে খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ]

যদিও বকেয়া বেতন নিয়ে এ ধরনের সমস্যার কথা অস্বীকার করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। তিনি জানিয়েছেন, লগ-ইন করে পরীক্ষা দিতে না পারাটা নিতান্তই প্রযুক্তিগত সমস্যা। তাঁর আরও দাবি যে লকডাউনে পড়ুয়াদের মাসিক বেতন দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের উপর চাপ তৈরি করা হয়নি। বরং তাঁদের বলা হয়েছিল, যাঁদের সমস্যা আছে, তাঁরা একটি আবেদনপত্র লিখে দিলেই স্কুল কর্তৃপক্ষ তা বিবেচনা করবে। কিন্তু অ্যাপ তো অন্য কিছু দেখাচ্ছে। সেখানেই অভিভাবকরা স্কুলের বিরুদ্ধে অমানবিক আচরণের অভিযোগ তুলছেন। বলা হচ্ছে, বেতন বাকি থাকার ফলেই ওই পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে রেলের লক্ষ্মীলাভ, গুজরাট থেকে বাংলায় মাছ পাঠিয়ে আয় লক্ষ লক্ষ টাকা]

রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, স্কুলের বেতন বাকি থাকলেও কোনও পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আবার কলকাতা হাই কোর্ট অভিভাবকদেরও নির্দেশ দেয় যে যত দ্রুত সম্ভব স্কুলের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। এখন এই দুয়ের টানাপোড়েনে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারাই। বারাকপুরের এই ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের যে পড়ুয়ারা পরীক্ষা দিতে পারল না, তারা এই মুহূ্র্তে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তায় ভুগছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ