জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে অছিলায় ধর্ষণ। তার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। সন্তানের জন্মের পরই ঘটনাটি জানাজানি হয়। পুলিশের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত যুবক। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার ঘটনা।
উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের সৌমেন পাড়ে এবং বছর পনেরোর ওই নাবালিকা। বছরদুয়েক আগে দু’জনে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ক্রমশই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। ৯ মাস আগে বৈরামপুর এলাকায় ঘুরতে যায় দু’জনে। অভিযোগ, সেখানে একটি ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকাকে নিয়ে যায় ওই যুবক। তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। তবে ভয়ে আতঙ্কে পরিবারকে কিছু জানায়নি নাবালিকা। তবে দিনকয়েকের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। সেকথা প্রেমিককে জানায়ও সে। তবে শারীরিক সমস্যার কথা জানাতেই নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যুবক। মাসদুয়েক আগে নাগপুরে হোটেলের কাজেও চলে যায় সে। তারপর থেকে একেবারেই ফোন করা বন্ধ করে দেয় যুবক।
গত ৯ মে পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় নাবালিকার। পরিবারের লোকজন অবাক হয়ে যায়। কী কারণে পেটে যন্ত্রণা হচ্ছে, প্রথমে তা বুঝতে পারেননি কেউই। বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নাবালিকাকে। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন, ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা। এরপর হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। নাবালিকা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়।
তারপরই নাবালিকার পরিবার গোটা ঘটনা জানতে পারে। ওই যুবকের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই যুবক গোপালনগরে ফেরে। খবর পেয়ে পুলিশ তার বাড়িতে যায়। গ্রেপ্তার করে যুবককে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.