Advertisement
Advertisement
গণধর্ষণ

৪ যুবকের নারকীয় অত্যাচার, গণধর্ষণে বাকশক্তি হারাল নির্যাতিতা কিশোরী

রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷

A school student allegedly raped by four youth in Raigunj

ছবি প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 3, 2019 3:30 pm
  • Updated:August 3, 2019 3:30 pm

শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ:  গণধর্ষণের জেরে এবার বাকশক্তি হারিয়ে ফেলল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী৷ অভিযুক্ত চার যুবক৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামে৷ গণধর্ষণের অভিযোগ চার যুবক এবং তাদের সাহায্য করার অভিযোগে আরেকজনের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷

[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের খাবার থেকে বাদ দিতে হবে কলা, প্রশাসনকে চিঠি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের] 

বান্ধবীর বিয়েতে আমন্ত্রিত হয়ে রায়গঞ্জে এসেছিল নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। বাড়ির উঠোনে বিবাহ বাসরে অনুষ্ঠান চলাকালীন পোশাক বদলাতে বান্ধবীর বাড়ির একটি ঘরে ঢোকে কিশোরী। বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা তখন মাঙ্গলিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক সেই সময় দরজা ঠেলে আচমকা নাবালিকার ঘরে ঢুকে পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় চার যুবক। অভিযোগ, ওই ঘরেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা। আর দরজার বাইরে পাহারা দেয় এক যুবক। শেষে ওই স্কুল পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। নারকীয় এই ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রাম৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাত্রদের চুলের ছাঁট দেখে চক্ষু চড়কগাছ, নাপিতদের চিঠি প্রধান শিক্ষকের]

অবশেষে কিশোরীর কান্নার শব্দ বাড়ির এক সদস্যের কানে পৌঁছয়৷ তিনি তড়িঘড়ি ওই ঘরটিতে দৌড়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন কিশোরীকে৷ অভিযোগ, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন কিশোরীর বান্ধবীর পরিজনেরা৷ নির্যাতিতা ওই কিশোরীকে হেমতাবাদের মাধবপুর গ্রামে খবর পাঠানো হয়। ঘটনার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ মহিলা থানায় ওই যুবকদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ রাতেই ওই নাবালিকাকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভরতি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরীর অস্ত্রোপচার করা প্রয়োজন৷ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ওই কিশোরী হারিয়ে ফেলেছে বাকশক্তিও৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দরকার হলেই ফোন করুন’, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির জোর প্রচার সাংসদ মিমির]

নির্যাতিতার মা বলেন,“ওই ঘটনার পর থেকে আমার মেয়ের কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পাগলের মতো করছে। কী করব বুঝতে পারছিনা৷’’ পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করা হচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ