পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ক্লাস চলাকালীন দুই পড়ুয়ার বচসার জের। নিরাপত্তারক্ষীদের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই মাদ্রাসায় ঢুকে এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল অন্য পড়ুয়ার বাবার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্টের জাকির হোসেন হাই মাদ্রাসায়। ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত মাদ্রাসা চত্বর। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: নকল জল বিক্রি চক্রের পর্দাফাঁস, মালদহ-সহ একাধিক স্টেশনে উদ্ধার প্রচুর বোতল]
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সকালে। জানা গিয়েছে, ওই দিন একাদশ শ্রেণির ছাত্র নূর সেলিমের সঙ্গে চেয়ার ও বেঞ্চ নিয়ে বচসা হয় নবম শ্রেণির এক পড়ুয়ার। সঙ্গেসঙ্গে বাবাকে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানায় নবম শ্রেণির ওই ছাত্র। এরপরই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই মাদ্রাসায় ঢুকে পড়ে ওই ছাত্রের বাবা সইফুল শেখ। অভিযোগ, নূর সেলিমকে বেধড়ক মারধর করেন ওই ব্যক্তি। সাময়িকভাবে অশান্তি মিটিয়ে দিলেও মাদ্রাসার তরফে জানানো হয় সোমবার এই বিষয়ে মিটিং করা হবে।
সেই মতোই সোমবার সকালে জাকির হোসন হাই মাদ্রাসায় উপস্থিত হন সমস্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। সেখানেই অভিযুক্ত সইফুল শেখের শাস্তির দাবিতে সরব হন তাঁরা। সেই সময় স্থানীয়রা মাদ্রাসার গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই অনৈতিক কাজকর্মের আখড়া এই মাদ্রাসা। অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে মাদ্রাসার তরফে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
[আরও পড়ুন: জার্মানিতে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ পালা মঞ্চস্থ করতে পাড়ি দিলেন পুরুলিয়ার ছৌ শিল্পীরা]
ভিতরে অভিভাবকদের বিক্ষোভ ও বাইরে স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মাদ্রাসা চত্বর। তেহট্ট মহকুমা পুলিশের উপস্থিতিতে কিছুটা স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এরপর মিটিংয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক অভিযুক্তকে নির্দেশ দেন নূর সেলিমের কাছে ক্ষমা চাওয়ার। কিন্তু প্রথমে তাতে রাজি হননি অভিযুক্ত। পরে দু’পক্ষের আলোচনায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে এদিনের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একজন অভিভাবক মাদ্রাসায় ঢুকে অন্য ছাত্রকে আক্রমণ করে? প্রশ্নের মুখে মাদ্রাসার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।