সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার রাজ্যে খুন তৃণমূল (TMC) নেতা। ছুরি দিয়ে প্রথমে কোপানো হয় ওই তৃণমূল নেতাকে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ। বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রামের ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক স্থানীয়রা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বেলিয়াড়া গ্রামের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন শেখ বাবর আলি। অভিযোগ, শনিবার রাতে একদল দুষ্কৃতী স্থানীয় তৃণমূলের কার্যালয়ের কাছে জড়ো হয়। ব্যাপক বোমাবাজিও করে তারা। সেই সময় শেখ বাবর আলি বাড়িতেই ছিলেন। দলীয় কার্যালয়ের অদূরেই বাড়ি তাঁর। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ে হামলার পর শেখ বাবর আলির প্রতিবেশী হাজি সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা। সেখান থেকে দরজা ভেঙে শেখ বাবর আলির বাড়িতে ঢুকে পড়ে তারা। এরপর বাবর আলিকে ছুরি দিয়ে ক্রমাগত কোপাতে থাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যু নিশ্চিত করতে বাবর আলি এবং তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়।
[আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে রাজ্যে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা, জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
স্থানীয়দের দাবি, উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলি ও বর্তমান প্রধানের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে দিনকয়েক ধরে সংঘাত চলছিল, তার ফলে এমন কাণ্ড ঘটেছে। যদিও এ প্রসঙ্গে দলীয় নেতা শ্যামল সাঁতরা বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে পুলিশ আটক করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে।” খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ওই প্রাক্তন প্রধানের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। যাতে নতুন করে আর কোনও উত্তেজনা তৈরি না হয় তাই গোটা গ্রামই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। এই ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়াল বাসন্তীতেও। দুষ্কৃতীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হলেন দুই তৃণমূল সমর্থক। একজন ফারুক শেখ এবং অন্যজন মোহত শেখ। রবিবার সকালে চড়াবিদ্যা মিশন বাজার এলাকাতে হঠাৎই কয়েকজন মিলে আক্রমণ করে ওই দুই তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে। চলে ব্যাপক গুলি। একজনের বাম পায়ে এবং অন্যজনের মাথায় গুলি লেগেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।