পলাশ পাত্র, তেহট্ট: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় প্রাণ গেল যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার ধুবুলিয়া থানার তাতলায়। গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর রবিবার মৃত্যু হয় ওই যুবকের। খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে যুবকের পরিবার। ইতিমধ্যেই ঘটনায় রাজনীতির রং লেগেছে। রবিবার নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রী তথা বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস।
[আরও পড়ুন: দুষ্কৃতীদের প্রহারে হারিয়েছিল স্মৃতি, তামিল যুবককে ঘরে ফেরাল হ্যাম রেডিও]
জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১০ তারিখ ধুবুলিয়া থানা এলাকার তাতলায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ছিলেন দুলাল বৈদ্য নামে ওই যুবক। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন সেখানে। পাশের পাড়ার কয়েকজন যুবক অনুষ্ঠান চলাকালীন সেখানে হাজির হয়। অভিযোগ, সেখানে মহিলাদের ইভটিজিং করে ওই যুবকরা। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে দুলাল। এরপরই যুবককে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা ওই যুবককে ধুবুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে রবিবার রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বুদ্ধদেব ঘোষ-সহ ৮ অভিযুক্তের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে যুবকের পরিবার। শুরু হয়েছে তদন্ত।
মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই যুবকের পরিবার। জানা গিয়েছে, রবিবারই ওই যুবকের বাড়িতে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস। তিনি বলেন, “দুলাল খুব ভাল ছেলে। সেদিন রাতে অভব্যতার প্রতিবাদ করেছিল। তাই এই পরিণতি।” তাঁর অভিযোগ, বিজেপি মদতপুষ্টরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে দুলালকে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার। তিনি বলেন, সব মৃত্যুই কষ্টের। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোন যোগ নেই। পালটা তিনি কাঠগড়ায় তোলেন তৃণমূলকে। দাবি করেন, ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে তৃণমূল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই।