Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা, মহারাষ্ট্র ফেরত যুবককে বাড়িতে ঢুকতে বাধা প্রতিবেশীদের

আতঙ্কে দিন কাটছে ওই যুবক এবং তাঁর স্ত্রীর।

A youth didn't entered home due to corona scare in Ghola
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 29, 2020 10:26 pm
  • Updated:May 29, 2020 10:26 pm

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: স্বাস্থ্য দপ্তর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিককে ১৪ দিন নিজের বাড়ির গণ্ডিতেই বদ্ধ থাকতে হবে। অথচ বাড়িতেই ঢুকতে বাধা পেলেন এক পরিযায়ী শ্রমিক। শুক্রবার বিকেলে ঘোলায় এক মহারাষ্ট্র ফেরত এক পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ঢুকতে গেলে এলাকাবাসীর সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। চরম হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁকে। শেষে পুলিশ গিয়ে বাড়িতে তুলে দিয়ে আসে ওই অসহায় যুবককে।

ঘোলা কর্ণমাধবপুরের বাসিন্দা সৌভিক অধিকারী নামে ওই শ্রমিকের দাবি তাঁর কাছে প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁকে এবং তাঁর  স্ত্রীকে হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাড়ার লোকেরা তাঁদের হুমকিও দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বছর সাতাশের ওই যুবক লকডাউনের সপ্তাহখানেক আগে অলংকারের কাজে জন্য মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। লকডাউনের মধ্যে সেখানে দুর্দশায় দিন কাটছিল তাঁর। অবশেষে রাজ্যে ফেরার ব্যবস্থা হয়। শুক্রবার ভোরে ঘোলায় ফেরেন। বাড়ি ফিরে স্থানীয়দের রোষের মুখে পড়তে হতে পারে বলে আগেই আঁচ পেয়েছিলেন তিনি। তাই ঘোলায় নেমে আগে থানায় যান। থানা থেকে তাঁকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য পানিহাটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করে কোনও শারীরিক সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার হাসপাতালে গিয়ে লালারসের নমুনা দিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্রাণের ত্রিপল বিলি নিয়েও গন্ডগোল! তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত কুলপি]

সৌভিকের দাবি, হাসপাতাল থেকে পরীক্ষা করে তিনি থানায় ফেরেন। সেখান থেকে তাঁকে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফেরার জন্য আশ্বস্ত করা হয়। কিন্তু পাড়ায় ঢুকতেই রে রে করে তেড়ে আসেন প্রতিবেশীরা। পাড়ার মোড়েই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর বাড়ির সামনে এমনকী পাশের পাড়ায় যে বাড়িতে তাঁর বাবা, মা থাকেন সেই বাড়ির সামনেও গাছের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকে দেয় স্থানীয়রা। ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী তাঁকে মারধর করতেও উদ্যত হয় বলে অভিযোগ ওই যুবকের। অগত্যা থানায় ফিরে যান তিনি। পরে পুলিশ পাঠিয়ে তাঁকে বাড়িতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেন ঘোলা থানার আইসি। সৌভিকের স্ত্রী মধুমিতার অভিযোগ, “এলাকার কিছু লোক লাগাতার হুমকি দিয়ে চলেছে। বড় অসহায় লাগছে। সর্বক্ষণ ভয় ভয় রয়েছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সন্দেহে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন, অবসাদে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা বৃদ্ধের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ