শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: কেরল ফেরত এক ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না পাঠিয়ে জবরদস্তি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই স্কুলে রাখায় ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ফরাক্কা। পঞ্চায়েত সদস্যার এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ পর ঘরে ফেরানো হয় ওই ব্যক্তিকে।
ঘটনার সূএপাত মঙ্গলবার। এদিন ফরাক্কার জাফরগঞ্জের বাসিন্দা এক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন কেরল থেকে। জানা গিয়েছে, কোনও রকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করিয়েই তিনি বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে পরীক্ষা করতে বললে তাতে রাজি হননি তিনি। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, এরপরই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের সদস্যার নেতৃত্বে কয়েকজন গ্রামবাসী ওই ব্যক্তিকে জোরপূর্বক স্থানীয় নয়নসুখ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘরে রাখার ব্যবস্থা করেন। এলাকায় খবর ছড়াতেই ওই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানোর দাবি জানান স্থানীয়রা। ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন নয়নসুখ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি সোমেন পান্ডে। বলেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না পাঠিয়ে স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীকে হুমকি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করেছেন পঞ্চায়েত সদস্যা।
[আরও পড়ুন: করোনা সংকটের মাঝেও সুখবর, সুন্দরবনে বাড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা]
এ বিষয়ে ফরাক্কা ব্লকের বিএমওএইচ সজল কুমার পণ্ডিত জানান, ব্লক প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কাউকে স্কুলে রাখা ঠিক হয়নি। বিষয়টি জানা নেই বলেই দায় এড়ান ফরাক্কার বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী। তবে খোঁজ নেবেন বলে আশ্বাসও দেন। এর প্রায় চার ঘণ্টা পর অশান্তির অবসান হয়। স্কুল থেকে বাড়িতে পাঠানো হয় ওই ব্যক্তিকে। কিন্তু কেন কেরল ফেরত দুর্যোধনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হল না তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।