সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনা (Coronavirus) আবহে স্কুলের ফি বৃদ্ধি ইস্যু এক সারিতে নিয়ে এল বিজেপি, তৃণমূল, সিপিএমকে। শুক্রবার এ নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে বিজেপি, তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পা মেলাল সিপিএম, কংগ্রেসও। করোনাকালে স্কুল ফি’র মধ্যে টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য ফি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে দুর্গাপুরে অভিভাবকদের যৌথ ফোরাম। প্রায় মাস দুই ধরে তাঁদের এই আন্দোলন চলছে। স্কুলে স্কুলে বিক্ষোভ ছাড়াও প্রতিবাদ মিছিল হয় দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়। মহকুমাশাসকের কাছেও দফায় দফায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি হাইকোর্ট এই নিয়ে রায় দিলেও তা রাজ্যের সমস্ত স্কুলের জন্য প্রযোজ্য নয় বলেই দাবি করে অভিভাবকদের ফোরাম। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের কাছে ফের তাঁদের দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে শুক্রবার মিছিলে শামিল হয় অভিভাবকদের যৌথ ফোরাম। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন জেলা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা। এ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে সিপিএম বিধায়ক, বিজেপি জেলা সভাপতি, কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি ও দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য ও আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি হাঁটলেন একসঙ্গে। রাজনৈতিক ভেদ ভুলে পা মেলান সিপিএম বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়, আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পারিয়াল, বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্যাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ]
এই প্রসঙ্গে বিশ্বনাথ পারিয়াল বলেন,“ এই সময়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু স্কুলের ফি বৃদ্ধি। কোনও দল নয়, অভিভাবক হিসাবে আমি এই আন্দোলনে যোগ
দিয়েছি।” বিজেপির লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের বক্তব্য, “অভিভাবকদের ডাকে এসেছি। অভিভাবকদের দাবি নিয়ে সহানুভুতিশীল নয় রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে
আমি সিবিএসই (CBSE) ও আইসিএসই (ICSE) নিয়ে আমাদের স্থানীয় সাংসদ ও দলের রাজ্য সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: বাংলার করোনাযোদ্ধাদের সম্মান, স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ স্ট্যাম্প প্রকাশ করবে ডাকবিভাগ]
এদিনের মৌন মিছিল শেষে মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় অভিভাবকদের যৌথ ফোরাম। অভিভাবদের যৌথ ফোরামের পক্ষ থেকে মানিক দাস জানান, “টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য ফি প্রত্যাহারের দাবিতে প্রয়োজনে আমরাও আদালতের দ্বারস্থ হব।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়।