অর্ণব আইচ: জীবনতলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক। ফলে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। ধৃতের কাছ থেকে ডবল ব্যারেল আগ্নেয়াস্ত্র ও চারটি ফ্যাক্টরি মেড কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। আর এই কার্তুজের খোলসেই লুকিয়ে আসল রহস্য।
বসিরহাট থেকে ফারুক মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেঙ্গল এসটিএফের হাতে ধৃত হাজি রশিদ মোল্লার কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কিনেছিল ফারুক। তার কাছ থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এসটিএফ মনে করছে, উদ্ধার হওয়া কার্তুজগুলো অন্য কোনও লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান থেকে কেনা। অর্থাৎ রাজ্য় এসটিএফ মনে করছে, শুধু বিবাদী বাগের এই বিপণি-ই নয়, আরও একাধিক বিপণির যোগ আছে এই ‘অস্ত্র ভাণ্ডারে’র সঙ্গে।
সূত্রের দাবি, ফারুকের কাছে যে চারটি কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি ‘ফ্যাক্টরি মেড’। যা বিবাদী বাগ বিপণির নয় বলে জানা যাচ্ছে। তাহলে অন্য কোনও বিপণি থেকে নেওয়া হল খোঁজ নিচ্ছে এসটিএফ। উল্লেখ্য, শহরজুড়ে আট থেকে নটি বিপণি রয়েছে। সুতরাং এই কার্তুজ কোথা থেকে কেনা হয়েছে, নাকি সরাসরি ফ্যাক্টরি থেকে পাচার করা হয়েছিল কার্তুজ, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ইশ্বরীপুর এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের এসটিএফের বিশেষ টিম। তদন্তকারীরা শুক্রবার রাতে হাজি রশিদ মোল্লার বাড়িতে হানা দেন। বাড়ির ভিতর অভিযান চালাতেই বেরিয়ে পড়ে ওই বিপুল পরিমাণ কার্তুজ। বাড়ির মালিক-সহ আরও তিন ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিরা হলেন হাসনাবাদের বাসিন্দা বছর চল্লিশের আশিক ইকবাল গাজি, পঁয়তাল্লিশ বছরের আবদুল সেলিম গাজি ও শান্তিপুরের জয়ন্ত দত্ত। ধৃত জয়ন্ত দত্ত আবার বিবাদী বাগের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র বিপণিতে কর্মরত। তদন্তকারীদের সন্দেহ, অর্থের বিনিময়ে ওই বিপণি থেকে অস্ত্র পাচার করত জয়ন্ত। সন্দেহের নিরসন করতে শনিবার ওই বিপণিতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চালিয়ে রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.