Advertisement
Advertisement

Breaking News

Anubrata Manda threatens

‘বিজেপি জয়ী হলে সেই এলাকায় উন্নয়ন করা হবে না’, নিদান অনুব্রতর

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপর তৃণমূল নেতা।

Anubrata Mandal's news in Bengalai: no development work if BJP win, threats by TMC leader | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 15, 2020 8:17 pm
  • Updated:August 7, 2021 12:12 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিজেপি জয়ী হলে সেই এলাকায় কোনও উন্নয়নের কাজ হবে না। মঙ্গলবার খয়রাশোলের কর্মিসভা থেকে হুমকি দিলে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। পাশাপাশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতেও কড়া বার্তা দেন তিনি। কোথাও কোথাও তো নেতাদের পদ থেকে সরিয়ে দেন। কোথাও আবার চূড়ান্ত সতর্ক করেন। অন্যদিকে, মল্লারপুরে বিজেপি কর্মীদের মারধোরের হুমকির জেরে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মল্লারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

গত লোকসভা নির্বাচনে খয়রাশোলে ১০ হাজারের বেশি ভোটে বিজেপির (BJP) থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এদিন নাকরাকোদার একটি বুথের হিসাব নিতে গিয়ে অনুব্রত দেখেন, বিজেপি পেয়েছে ৭০০ ভোট, সেখানে তৃণমূলের ঝুলিতে ১০০ ভোট। স্বভাবতই এই পরিসংখ্যান হাতে আসতেই সপ্তমে ওঠে অনুব্রতর গলা। বুথ সভাপতিকে বলেন, “আপনি আমাকে না দিলে আমি একতরফাভাবে আপনাকে দেব না”। এরপরেই নাকরাকোদার অঞ্চল সভাপতি বিকাশ ঘোষকে জানিয়ে দেন, “বিকাশ আমাকে কাজের কথা বলবি না। কোনও কিছু কাজ চাইবি না ।যেখানে বিজেপি জয়ী হবে সেখানে টোটাল কাজ স্টপ।” অনুব্রত মণ্ডলের এই হুমকির জবাব দিতে বেশি দেরি করেননি বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল। ময়ূরেশ্বরের এক সভা থেকে তিনি জানিয়ে দেন, “সরকারি উন্নয়নের টাকা অনুব্রত মণ্ডলের পৈতৃক টাকা নয়। এ কথা রাজনৈতিকভাবে বলা যায় না। এটা অসংবিধানিক। রাজ্য সরকার যে টাকা পাঠায় তা জনগণের। কেন্দ্র যে টাকা পাঠায়, সে টাকা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘স্বপন দেবনাথ, অনুব্রত মণ্ডলরা বিকাশ দুবে হয়ে যাবেন’, হুঁশিয়ারি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

এদিন খয়রাশোলের হজরতপুর, লোকপুর ও নাকরাকোদা অঞ্চলে বুথস্তরের কর্মীদের সভা ছিল তৃণমূলের। সবাইকে হারের কারণ জিজ্ঞাসা করেন অনুব্রত। জেতার উপায় বাতলেছেন তিনি। এলাকার এক গোষ্ঠীর নেতা প্রলয় ঘোষকে ডেকে সাফ জানিয়ে দেন, “এরপর এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখলে দল থেকে বহিষ্কার করে দেব।” রসা গ্রামের সুবোধ হাজরাকে সরিয়ে অমিতাভ ডোমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। উল্লেখ্য তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুবিধা ভোগ করছে বিরোধীরা। তাই দলকে সতর্ক করার পাশাপাশি এলাকা উন্নয়ন নিয়ে কর্মীদের কখনও আবেদন কখনও সতর্ক করলেন দলের জেলা সভাপতি। জানালেন, “আপনাদের বিবেক বলে কিছু নেই। সীমিত আর্থিক অবস্থার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত চেষ্টা করছেন। এত তোমাদের দেওয়া হয়। এতদিন ৬৪টা প্রকল্প ছিল। গতকাল পুরোহিত ভাতা দিয়ে সেটা ৬৫টিতে দাঁড়াল। আর কী করবেন!”

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘জোর করে পঞ্চায়েতে ভোট করানোয় লোকসভায় হেরেছি’, স্বীকারোক্তি প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ