Advertisement
Advertisement
মিহিদানা, নকুলদানা

ভোটযুদ্ধে যুযুধান নকুলদানা-মিহিদানাও! অনুব্রতকে জবাব দিতে মিষ্টি বিতরণ অনুপমের

রাজনীতির ‘মিষ্টিমুখ’, বীরভূমে নকুলদানা-যাদবপুরে মিহিদানা৷

Anupam Hazra distributes mihidana at party office to counter Anubrata Mandol
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 5, 2019 5:49 pm
  • Updated:April 5, 2019 5:49 pm

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এ যেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা৷ দানার বদলে দানা৷ অনুব্রত মণ্ডলের নকুলদানার পালটা হিসেবে প্রচারে মিহিদানা বিতরণ করলেন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা৷

চড়াম চড়াম, পাচনের পর নকুলদানার বিলিয়ে বির্তক আরও বাড়িয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এবার তা আরও উসকে দিলেন বোলপুরের বিদায়ী সাংসদ এবং যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা৷ নকুলদানার জবাবে তিনি ব্যবহার করলেন মিহিদানা। তবে বীরভূমের মাটিতে নয়। নিজের কেন্দ্র বারুইপুর এলাকায় দলীয় কার্যালয় কর্মী, সমর্থকদের হাতে তুলে দিলেন মিহিদানার বাক্স৷ মিষ্টিমুখ করে বিজেপি কর্মীরা স্লোগান তুললেন ‘ভারত মাতা কি জয়’৷ এবিষয়ে অনুপম হাজরার কটাক্ষ, ‘নকুলদানা খেতে মানুষের কষ্ট হয়। কিন্তু মিহিদানা খুবই ভাল খাবার। নকুলদানায় কোনও রসকষ নেই। মিহিদানা রসালো খাবার৷ পশ্চিমবঙ্গবাসীর মনে তৃণমূল যেভাবে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছে, তাতে মিহিদানা খেলে মানুষের মনে মিষ্টতা আসবে।’

Advertisement

                                 [ আরও পড়ুন :  উপনির্বাচনে এখনও দেখা নেই বিজেপির প্রার্থীর, জোরকদমে কৃষ্ণগঞ্জে প্রচারে অন্যান্যরা]

শুক্রবার বারুইপুরের দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছান যাদবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। হাতে মিষ্টির প্যাকেট৷ নিজের হাতে সেই মিষ্টি বিলি করলেন দলীয় কর্মীদের মধ্যে। কর্মীরাও মিহিদানা খাওয়ান প্রার্থীকে। ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বোলপুরের বিদায়ী সাংসদ অনুপম হাজরা৷ সেখানে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে অনুপমের সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না৷ সেই বিরোধ ক্রমাগত বাড়তে থাকায় শেষমেশ দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন অনুপম৷ বিজেপিতে যোগদানের পুরস্কার হিসেবে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের সুযোগ পেয়েছেন৷ বীরভূম থেকে একেবারে কলকাতা৷ তা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলকেই সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শত্রু বলে মনে করেন তরুণ অনুপম৷ তাই অনুব্রতর নকুলদানার পালটায় কিছু একটা যে তিনি দেবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল৷

Advertisement

                                          [ আরও পড়ুন : বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে কোচবিহারে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের]

তবে বারুইপুরের কার্যালয়ে মিহিদানা বিলিয়ে দেওয়ার কথা একেবারেই আচমকা দলের কর্মীদের কাছে৷ তবে মিহিদানা পেয়ে বেশ খুশিই হলেন তাঁরা৷ এসব দেখে অনেকেই বলছেন, রাজনীতির লড়াই কি আর শুধুই রাজনৈতিক নীতি-আদর্শের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? মোটেই না৷ অনুব্রত, অনুপমদের দৌলতে ভোটের লড়াই কীভাবে ‘মিষ্টি’ হয়ে উঠেছে, তা বেশ মালুম হচ্ছে৷ যতই কেন্দ্র আলাদা হোক, বোলপুরের নকুলদানার সঙ্গে যাদবপুরের মিহিদানার একটা চোরা লড়াই কিন্তু থাকছেই৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ