Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘অশোকনগরের ‘পার্থ’ প্রবোধ সরকার, ইডি-সিবিআই তদন্ত চাই’, পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার

পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে পুরসভার চাকরি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

Ashoknagar Municipal chief accused of corruption, locals demand probe | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:July 29, 2022 12:19 pm
  • Updated:July 29, 2022 12:19 pm

অর্ণব দাস, বারাসত: এসএসসি দুর্নীতি-পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি নিয়ে তোলপাড় বাংলা। এরই মাঝে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার চেয়্যারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পোস্টার এলাকায়।কোনওটিতে লেখা হয়েছে, “অশোকনগরের ‘পার্থ’ প্রবোধ সরকার।” কোনও পোস্টারে আবার সিবিআই-ইডি তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েথে অশোকনগরে। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি অভিযুক্তের।

বৃহস্পতিবার সকালে অশোকনগর পুরসভার পিছনে ফের এই ধরনের পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়রা। পোস্টার গুলিতে লেখা ছিল, “অশোকনগরের পার্থ প্রবোধ সরকার। অশোকনগরের বেকার যুবক-যুবতীদের বঞ্চিত করে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি বিক্রি করেছেন প্রবোধ সরকার। সি বি আই এবং ইডি তদন্ত চাই।” আবার কোনও পোস্টারে লেখা, “গঙ্গাজল প্রকল্পে তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন চেয়ারম্যান।” পোস্টারের নীচে লেখা “অশোকনগরের বেকার যুবক, যুবতী”। কোনওটিতে প্রেরকের জায়গায় লেখা “অশোকনগরের জনগন”।

Advertisement

[আরও পড়ুন: জেলায় জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, বাজ পড়ে প্রাণ গেল নদিয়ার ৪ জনের]

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চার মাঝে অশোকনগরে এই ধরনের পোস্টার পড়ায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার বলেন, “এরকম কুরুচিকর কথার উত্তর দিতেও আমার রুচিতে বাধে।” অশোকনগরের তৃণমূলের এসসি-ওবিসি সেলের সভাপতি বলেন, “পুরপ্রধান সৎ ও নিষ্ঠাবান। দুষ্কৃতীরা অশোকনগরকে অশান্ত করতে এসব পোস্টারিং করছে। অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করুক।” এ বিষয়ে সিপিএমের তরফে প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “টাকা ছাড়া ২০১১ সালের পর কোনও পদে চাকরি হয়নি। যোগ্য-উপযুক্ত যারা তাঁদের থেকেও টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলকে শেষ করতে আমাদের দরকার পরবে না। নিজেরাই শেষ হবে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত শনিবার গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chattejee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। গ্রেপ্তারির আগেই অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা। তারপরই প্রথমে তাঁকে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তিনি তদন্তে সহযোগিতা না করলেও চাপের মুখে অবশেষে মুখ খোলেন অর্পিতা। তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই বুধবার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি আধিকারিকরা। উদ্ধার হয় প্রায় ২৮ কোটি টাকা ও সোনা-রুপো। তারপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দু্র্নীতির অভিযোগ উঠছে।

[আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়ই নয়াবাদের ফ্ল্যাটে যেতেন অর্পিতা, রাতভর চলত দেদার পার্টি! প্রকাশ্যে নয়া তথ্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ