Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

যৌন নির্যাতনের বিচার না পেয়ে আত্মঘাতী নাবালিকা! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বারাসতের পরিবার

আপসে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল পুলিশ, দাবি পরিবারের।

Barasat family seeks justice for rape victim, approaches CM Mamata Banerjee | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 28, 2022 8:53 am
  • Updated:April 28, 2022 1:47 pm

অর্ণব দাস, বারাসত: বছর খানেক আগে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে যৌন নির্যাতনের (Rape) অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরিবারের তরফে পুলিশের দ্বারস্থ হলে সালিশি করে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপরই অবসাদে ওই নাবালিকা ৪ এপ্রিল আত্মঘাতী হয় বলেও দাবি। এদিকে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনার ২৩ দিন কেটে গেলেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি। শেষপর্যন্ত বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) লিখিতভাবে গোটা বিষয়টি জানায় মৃত নাবালিকার পরিবার। পাশাপাশি বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হন তাঁরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসত থানার অন্তর্গত উত্তর কাজিপাড়ার সিথিবড়া এলাকার মামার বাড়িতে থাকতেন নবম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকা। স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, বছরখানেক আগে ওই যুবক নাবালিকাকে অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন চালায়। পরিবারের তরফে এবিষয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে সালিশি করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে এগিয়ে এল গরমের ছুটি, দিনক্ষণ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এরপর এলাকার ডাকাবুকো কয়েকজনের নেতৃত্বে নাবালিকার পরিবার অভিযুক্ত যুবকের পরিবারের সঙ্গে মীমাংসায় বসে। এই সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় নাবালিকা প্রাপ্তবয়স্ক হলে যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও নানানভাবে ওই যুবক নাবালিকাকে অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। এরপর চলতি মাসের ৪ তারিখ আত্মঘাতী হয় নাবালিকা। এই ঘটনাটিও পরিবারের তরফে থানায় জানানো হয়। অভিযোগ, কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষমেষ বারাসত পুলিশ জেলার সুপারের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবার। মুখ্যমন্ত্রীকেও লিখিত অভিযোগ জানান তারা।

Advertisement

এবিষয়ে মৃতের মামা বলেন, “এলাকার এক যুবক ভাগ্নিকে অপহরণ করে অত্যাচার করে। তখন পুলিশকে জানিয়ে লাভ হয়নি। সালিশিতে জানায়, মেয়ে সাবালিকা হলে ওই যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও ভাগ্নিকে ফোন করে নানাভাবে উত্যক্ত করা হত। এই কারণেই অবসাদে ভাগ্নি আত্মঘাতী হয়। এই ঘটনার অভিযোগ থানায় জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী-সহ পুলিশের সর্বস্তরে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছি।”

[আরও পড়ুন: স্কুল যেতে শিক্ষিকাকে রোজ পেরতে হয় ২৮৪ কিমি! বদলির আবেদন মঞ্জুর হাই কোর্টে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ