Advertisement
Advertisement
বেলুড়

বাজার বন্ধ থাকার আতঙ্কে রাতেই খুলল দোকানপাট, সংঘর্ষ-লাঠিচার্জে উত্তপ্ত বেলুড়

বিধানপল্লির অনেককেই রাতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

Bazar opens at night at Belur, hugh chaos between customers and police
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 26, 2020 11:35 am
  • Updated:April 26, 2020 11:35 am

সুব্রত বিশ্বাস: রবিবার থেকে বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো তা ঘোষণা করা হয়নি। ফলে যে বাজার রাতে বন্ধ থাকে, তাও খুলে যায় আতঙ্কে। বাজার বন্ধ করতে এলে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালায়। এরপর ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশকে আক্রমণ করে। আহত হন পুলিশ কর্মীরা। ভাঙচুর হয় পুলিশের গাড়ি। রাতেই আটক করা হয় অনেককে। শনিবার গভীর রাতে লকডাউনের মধ্যে ‘হটস্পট’ জোনে এধরনের কাণ্ডে তীব্র আতঙ্ক ও অসন্তোষ দেখা দেয়।

ঘটনায় পুলিশের কাজের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। পুলিশ যথা সময়ে বাজার বন্ধের কথা ঘোষণা করলে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হত না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। রবিবার অর্থাৎ আজ থেকে বাজার বন্ধ থাকবে লকডাউন চলা পর্যন্ত। এই ঘোষণার পরই জিনিসপত্র কেনার হিড়িক পড়ে যায়। যে বাজার রাতে বন্ধ থাকে সেই বেলুড় নতুন বাজার খুলে যায় রাতেই। মুহূর্তের মধ্যে বাজারে ভিড় জমে যায়। সামাজিক দূরত্ব অবজ্ঞা করেই শুরু হয় বেচা-কেনা। ক্রেতা-বিক্রেতা প্রত্যেকে জানান, শুক্রবার বা শনিবার সকালে ঘোষণা করলে মানুষ প্রস্তুতি নিতে পারত। রাতে হঠাৎ এই বন্ধের ঘোষণায় আতঙ্কে ভিড় জামাতে বাধ্য হন মানুষজন।

Advertisement

Bazar

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনে নির্জনতার সুযোগে চুরির ছক! ধরা পড়তেই বেধড়ক মার ২ যুবককে]

খবর পেয়ে বেলুড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌচ্ছায়। পুলিশ বাজার তুলতে লাঠিচার্জ করে। ভেঙে দেয় বাজারের আলো। আহত হন বেশ কয়েকজন ভেন্ডার। এরপর ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের উপর হামলা চালায়। আহত হন পুলিশ কর্মী। ভাঙা হয় পুলিশের গাড়ি। এরপর বাজার বন্ধ হয়। তখনকার মতো পুলিশ ফিরে গেলেও পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী কমব্যাট ফোর্স এসে পুলিশের উপর হামলাকারীদের ধরপাকড় শুরু করে।
স্থানীয় বিধানপল্লির অনেককেই রাতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিস্থিতি বেশ উতপ্ত। বিকল্প কোনও ব্যবস্থা না করে হঠাৎ পুলিশের সন্ধেয় দোকান-বাজার বন্ধের ঘোষণা এই ঘটনার মূল কারণ বলে মনে করছে এলাকার মানুষ। এলাকার বিদায়ী কাউন্সিলর প্রাণকৃষ মজুমদার ক্ষোভ উগরে দিলেন বলেন, “এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে সবাইকে চলতে হবে। আমরা ভলান্টিয়ার নিয়োগ করেছি। কেউ প্রয়োজনের কথা জানালে বাড়িতেই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেবে তারা। তারপরও কার নির্দেশে বন্ধ বাজার খোলা হল আইন উপেক্ষা করে? এই পরিস্থিতিতে যে এই নির্দেশ দিয়েছে, তাকেই দায় নিতে হবে।”

[আরও পড়ুন: লকডাউন অফার! বাড়িতে বসে সবজি কিনলেই স‌্যানিটাইজার ফ্রি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ