Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিকাশ রায়চৌধুরি

দুর্নীতি নাকি অসুস্থতা? বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির ছুটির কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

জেলাশাসকের কাছে ছুটি চেয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরি।

Bikash Roychowdhury applies leave to Birbhum's DM
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 2, 2019 8:10 pm
  • Updated:December 2, 2019 8:10 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদ থেকে দীর্ঘ ছুটি চাইলেন বিকাশ রায়চৌধুরি। সোমবার জেলাশাসকের কাছে ছুটির দরখাস্ত কমিশনারের উদ্দেশ্যে তা পাঠিয়ে দেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্যই তার এই ছুটি বলে জানান বিকাশ রায়চৌধুরি। জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, “ছুটির আবেদন কমিশনারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।” যদিও এই ছুটির পিছনে দলের কোন্দল ও বিকাশবাবুর দুর্নীতিকে আড়াল করার চেষ্টা বলে অভিযোগ বিজেপির। তৃণমুলের দাবি, বিকাশবাবু নিজে অসুস্থ। ছেলের বিয়ে। তাই দলকে না জানিয়েই ছুটি নিয়েছেন।

গত সপ্তাহে ময়ূরেশ্বর দুই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডলকে ছ’মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়। তার আগে বোলপুরে তৃণমূল জেলা কার্যালয়ে সমিতির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়। ঠিক একইভাবে রবিবার সন্ধেয় বিরোধী শূন্য জেলা পরিষদের ৪২ সদস্যের সব সদস্যকে নিয়ে জরুরি বৈঠকও ডাকা হয়। কিন্তু বিকেলেই তা বাতিল করা হয়। তৃণমূলের অন্দরে বিকাশবাবুকে রাখার চেষ্টা শুরু হয় বলে গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু সোমবার সকালে ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়ে দেন তিনি। অসুস্থ স্ত্রীকে দুর্গাপুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। তিনি জানান, “স্ত্রী অসুস্থ। আগামী জানুয়ারিতে ছেলের বিয়ে তাই ছুটি নিলাম।”

Advertisement

এদিকে এই দীর্ঘ ছুটির পিছনে রহস্য দেখছে সিপিএম। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, “জেলার প্রথম প্রশাসনিক পদ থেকে একজনের দীর্ঘদিনের এই ছুটিতে সন্দেহ আছে। উপযুক্ত তদন্ত হওয়া দরকার।” বিজেপির বিদায়ী জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের দিদিকে বলো অনুষ্ঠানে বিকাশবাবুর জেলা পরিষদ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। দুর্নীতিতে ডুবে গিয়েছে তৃণমূলের একচ্ছত্র জেলা পরিষদ। তাই জেলা সভাধিপতিকে ছুটিতে পাঠিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে তৃণমূল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: তৃণমূলে ফিরতে চান মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু! যোগাযোগ করছেন আরও ৩ বিধায়ক]

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বিকাশদার বুকে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হয়েছে। তিনি নিজে অসুস্থ। তার স্ত্রী অসুস্থ। সামনের মাসে ছেলের বিয়ে। তাই দলকে একরকম না জানিয়ে তিনি ছুটি নিয়েছেন।” সরকারি বিধি অনুসারে সহকারি সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডলকে আপাতত জেলার উন্নয়নের কাজ চালাতে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পরপর তিনবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে সেরা জেলা পরিষদের পুরস্কারপ্রাপ্ত সভাধিপতিকে কেন ছুটি নিতে হল, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ছুটির আবেদন করলেও তা এখনও অনুমোদন হয়নি। পরিষদের সাধারণ সভায় তা অনুমোদন করতে হয়। সেক্ষেত্রে দল না চাইলে ফের সভাধিপতির দায়িত্বেই বহাল থাকতে হবে বিকাশবাবুকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ