Advertisement
Advertisement
মোদি, মমতা

এসপিজি-র সঙ্গে বৈঠকে কাটল জটিলতা, রাসমেলা মাঠেই মোদি-মমতার সভা

রাসমেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী সভা নিশ্চিত, স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷

BJP and TMC both arrange a election campaign in Coochbihar
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 5, 2019 5:46 pm
  • Updated:May 11, 2019 3:10 pm

বিক্রম রায়, কোচবিহার: এসপিজির সঙ্গে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের বৈঠকে মিলল সমাধান সূত্র৷ পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ৭ এপ্রিল কোচবিহারের রাসমেলা মাঠেই হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সভা৷ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর সভার মূল মঞ্চ এবং ডি-জোন বাদ দিয়ে প্রায় সবকটি বাঁশের ছাউনিই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারও সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ বৈঠকের সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির৷

[আরও পড়ুন: ভোট না দিলে হবে? গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে চায় শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের পরিবার]

লোকসভা নির্বাচন প্রায় চলেই এসেছে৷ তার আগে জনসংযোগই ভরসা৷ তাই ইতিমধ্যেই ভোটপ্রচারে জোর দিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি উভয়পক্ষই৷ আগামী ১১ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন৷ তাই তার আগে উত্তরের প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে জোর দেওয়া হয়েছে৷ কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৃণমূলের পরেশ চন্দ্র অধিকারীর৷ তাই দু’জনের সমর্থনেই প্রচারে নেমে পড়েছে দলীয় হাইকম্যান্ড৷ ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই৷ দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে আগামী ৭ এপ্রিল, রবিবার কোচবিহারের রাসমেলা মাঠে জনসভা করবেন নরেন্দ্র মোদি৷ তার ঠিক চব্বিশঘণ্টা পরেই ৮ এপ্রিল, সোমবার ওই একই জায়গায় সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর সভা, জায়গা নিয়ে তুঙ্গে বিতর্ক]

দু’টি রাজনৈতিক দলই সভার জন্য অনুমতি নিয়েছিল৷ তবে বিতর্কের সূত্রপাত করেছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ অতি উৎসাহে কর্মী সমর্থকরা বৃহস্পতিবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেন৷ শুক্রবার সকালে তৃণমূলের পোস্টার, ব্যানারে ভরিয়ে ফেলা হয় সভাস্থল৷ তা নিয়ে আপত্তি তোলেন বিজেপি কর্মীরা৷ কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভা মঞ্চ তৈরি করবেন তাঁরা, প্রশ্ন তোলেন এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ শুক্রবার বিকেলের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চ খুলে না ফেললে পরবর্তী পদক্ষেপেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ সমস্যা সমাধানে এসপিজির সঙ্গে বৈঠকে বসে কোচবিহার জেলা প্রশাসন৷ সেই অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর মূল সভা মঞ্চ এবং ডি-জোন বাদ দিয়ে বাকি বাঁশের ছাউনি খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ সরিয়ে ফেলা হয় ব্যানার, পোস্টার এবং তৃণমূলের দলীয় পতাকাও৷ প্রধানমন্ত্রীর সভা নিয়ে জটিলতা কাটায় স্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ