Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাহুল সিনহা

‘নৈহাটিতে আরডিএক্স বিস্ফোরণ হয়েছে’, দাবি রাহুল সিনহার

এনআইএ তদন্তের দাবিতে সওয়াল করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক।

BJP leader Rahul Sinha wants NIA prob on Naihati Blast Case
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 10, 2020 7:05 pm
  • Updated:January 10, 2020 7:05 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নৈহাটিতে কেন এত বড়সড় বিস্ফোরণ হল, সেই প্রশ্ন সরগরম রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেছে বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকরা। বিস্ফোরণস্থলে রুপোলি রঙের গুঁড়ো পদার্থ আদৌ কোন ধরনের রাসায়নিক তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারই মাঝে আরডিএক্স থেকে এত বড় বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই দাবি জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। এনআইএ তদন্তের দাবিতেও জোরালো সওয়াল করেন তিনি।

শুক্রবার বর্ধমান শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে জনসংযোগ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল বিজেপি। তাতেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। এছাড়াও ছিলেন দলের বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, যুব নেতা শ্যামল রায়, জেলা নেতা এসআর বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবাল রায়-সহ জেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। নৈহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ডে এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় নৈহাটিতে যে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তা আরডিএক্স বা তার চেয়েও শক্তিশালী ছাড়া কিছু হতে পারে না। পশ্চিম বাংলায় বোমা ফাটে কম। তার কারণ হচ্ছে এটা আতঙ্কবাদীদের আঁতুরঘর। আশ্রয়স্থল। সব জায়গা থেকে এখানে মাল মজুত করা হয়। আতঙ্কবাদীরা আশ্রয় নেয়। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনায়, আতঙ্কবাদী কাজ করে।” তিনি দাবি করেন, নৈহাটির এই বোমাও সন্ত্রাসবাদী কাজের জন্য রাখা ছিল। এই ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি করে তিনি বলেন, “খাগড়াগড়ের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এনআইএ তদন্তে রাজি হননি। কিন্তু নৈহাটির ঘটনায় অন্তত মুখ্যমন্ত্রী রাজি হোন। এবার মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে আসুন। কেন্দ্রীয় সরকারকে উনি অনুরোধ করুন। নইলে এই বোমা তৈরির সঙ্গে তৃণমূলেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে সকলেই ধরে নেবেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেল রাজা বিস্কুটের কারখানা, কাজ হারালেন প্রায় ২ হাজার শ্রমিক]

এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে বোঝান রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, “যে সমস্ত উদ্বাস্তুরা, হিন্দু নাগরিকরা বাংলাদেশ ছেড়ে এখানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে ধর্মীয় কারণে সেই সমস্ত উদ্বাস্তু হিন্দুকে নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ কেন্দ্রীয় সরকার করেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “নাগরিকত্ব আইন ২০১৯ পাশ হলেও কিছু রাজনৈতিক দল বিশেষ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস, সিপিএম মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। এই নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে একে বাদ দিয়ে ওকে তাড়িয়ে দেবে বলে অপপ্রচার করে পরিস্থিতি ভয়াবহ করার চেষ্টা করছে।” রাধানগর পাড়ায় বিজেপির জেলা সহ সভাপতি এসআর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে কার্যকর্তাদের নিয়ে চায়ে পে চর্চাতেও অংশ নেন রাহুল সিনহা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ