সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: নেপালে আটকে প্রায় চল্লিশ হাজার উত্তরবঙ্গবাসী। বাংলাদেশে আটকে আরও কয়েক হাজার। এরা সবাই কর্মসূত্রে এই দুই দেশে গিয়েছিলেন। হঠাৎ ফিরতে পারেননি। তাদের ফেরাতেই এখন প্রক্রিয়া শুরু করল কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছতেই তাঁরা বিদেশমন্ত্রকে বিষয়টি জানায়। তারপরই এদেশে কারা আটকে রয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে মন্ত্রক।
দার্জিলিং জেলারই প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার কর্মী ও শ্রমিক শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি ব্লকের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত দিয়ে নেপালে গিয়েছিলেন। যাঁরা লকডাউনের পর ফিরতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি প্রবীণ আগরওয়াল। তিনি বলেন, “লকডাউনের পর প্রচুর মানুষ দেশে ফিরতে চাইলেও তাঁরা যাতায়াত বন্ধ থাকায় ফিরতে পারেননি। আমাদের কাছে এমন প্রচুর আবেদন আসছে। কখনও ফোনে কখনও কারও মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রক্রিয়া শুরু করার তদ্বির করার দাবি এসেছিল। তারই সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানিয়েছি।” তবে স্থানীয় জেলাশাসকের ছাড়পত্র প্রয়োজন বলে বিজেপি জেলা সভাপতি জানিয়েছেন। যদিও দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক পুন্নমবালম এস জানিয়েছেন, সমস্তটাই বিদেশ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিষয়। ফলে সে দিক থেকে নির্দেশ হলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া হবে। সরাসরি এ বিষয়ে জেলাশাসকের কোনও ভূমিকা নেই।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি,পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরতেই মালদহে লাফিয়ে বাড়ল করোনা সংক্রমণ]
বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা যুব সভাপতি কাঞ্চন দেবনাথ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নেপালে আটকে থাকা ভারতীয় কর্মী শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রায় চল্লিশ হাজার লোক রয়েছেন। জেলাতেই সংখ্যাটা কয়েক হাজার পাশাপাশি উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড থেকে প্রচুর মানুষ নেপালে গিয়ে কাজ করেন। মূলত দার্জিলিং জেলা থেকে প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সমস্ত ভারতীয় বাসিন্দাদের জন্যই চিন্তাভাবনা শুরু করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।