ধীমান রায়, কাটোয়া: ভোটপ্রচারকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম। মঙ্গলবার বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাস আউশগ্রাম থানার দিগনগর-১ পঞ্চায়েতের মালিদাপাড়া গ্রামে প্রচারে বেরোন। অভিযোগ, তখনই তাঁর উপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তাদের উপর। তবে ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আউশগ্রামে দিগনগর-১ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যাওয়ার কথা ছিল বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাসের। পরিকল্পনামাফিক তিনি প্রচারে বেরোন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় নেতারা। অভিযোগ, মালিদাপাড়া গ্রামে প্রবেশ করার পরই তাঁর উপর হামলা করা হয়। প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন লাঠি নিয়ে প্রার্থী ও তাঁর দলের উপর হামলা চালায় বলে অভিয়োগ। নির্বাচন কমিশনের বিধি অনুযায়ী প্রার্থীর সঙ্গে এনসিসি ও পুলিশ ছিল। কিন্তু হামলার সময় তাঁরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ।
[ আরও পড়ুন: বিরিয়ানি খেয়ে নদিয়ায় অসুস্থ শতাধিক, আশঙ্কাজনক ১৬ ]
বিজেপির তরফে আরও অভিযোগ জানানো হয়েছে, হামলাকারীরা প্রার্থীর গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এছাড়া বাইকও ভাঙচুর করে তারা। অতর্কিত হামলায় ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে ক্যানেলপাড় এলাকায় আশ্রয় নেন। সেখানেই প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে ছিলেন তাঁরা। ঘটনায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। তবে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য জয়দীপ চট্টরাজের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে প্রথমে গুসকরায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া রুবি ধীবর নামে এক মহিলাও আহত হয়েছেন বলে খবর। বিজেপি প্রার্থী রামপ্রসাদ দাসও আহত হয়েছেন। তাঁর পিঠে ইটের আঘাত লেগেছে।
বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের আউশগ্রাম-১ ব্লক সভাপতি সালেক রহমান বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি উসকানিমূলক কথা বলেছিল। তাই গ্রামের লোক প্রতিবাদ করেছে। তবে পুলিশ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ আরও পড়ুন: কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভগবানগোলা, মৃত ১ ]