সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বভারতী ইস্যুতে এবার রাজ্যকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বললেন, “বিশ্বভারতীকে পার্টি অফিস করতে চেয়েছিল তৃণমূল।” উপার্চাযের পাশে দাড়িয়ে সাংসদ বলেন, “বিদ্যুৎবাবু একদম ঠিক কাজ করেছেন।”
মেলার মাঠে পাঁচিল তোলা নিয়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভের সাক্ষী হচ্ছে বিশ্বভারতী (Vishwabharati University)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই উত্তপ্ত গোটা রাজ্য। এবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “পরিকল্পনা মাফিক তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক একাজ করেছেন। কারণ, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তাছাড়া ওই জমিতে নজর ছিল তৃণমূল নেতা-বিধায়কের।” তাঁর কথায়, “বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা, তাঁরা যা খুশি করতে পারেন। তাতে কারও আপত্তি করার কথা নয়।” সরাসরি রাজ্যকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “শাসকদল ইতিমধ্যেই রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে। বিশ্বভারতীকেও করতে চেয়েছিল। কিন্তু উপাচার্য তাতে সায় দেয়নি বলেই এই কাণ্ড।” আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, “বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ হয়ে গিয়েছে। শিক্ষা নিয়েও রাজনীতি চলছে। পড়ুয়াদের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।” এদিন পুলিশকেও বিঁধলেন দিলীপ। বললেন, “পুলিশও রাজনীতির ঊর্ধ্বে নয়।”
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে পাঁচিল ভাঙায় উসকানি তৃণমূল বিধায়কের? থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের]
প্রসঙ্গত, পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে পৌষমেলার মাঠে পাঁচিল তোলা হচ্ছিল। উপাচার্যের নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করানোর প্রতিবাদে সোমবার কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে। স্থানীয় এবং পড়ুয়াদের একাংশ পে লোডার (Pay Loader) নিয়ে গিয়ে নির্মাণকাজ ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। মুক্ত শিক্ষাঙ্গনে পাঁচিল কেন, এই প্রশ্ন তুলে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। রাস্তাও অবরোধ করা হয়। ঘটনায় নাম জড়ায় দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশ বাউরির। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবারের ঘটনায় একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।