Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেওয়াল লিখন

দেওয়াল দখল নিয়ে উত্তপ্ত নৈহাটি, অর্জুন অনুগামীদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষ

পরিস্থিতি সামলাতে নামে ব়্যাফ, আতঙ্কিত এলাকাবাসী৷

BJP worker allegedly attacked by TMC worker at Naihati
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 6, 2019 5:24 pm
  • Updated:April 17, 2019 4:08 pm

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির সংঘাত৷ তা গড়ল হাতাহাতিতে৷ পরিস্থিতি এত জটিল হয়ে যায় যে, তা সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ নামানো হয় ব়্যাফ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটির পালপুকুর রোডের পাওয়ার হাউস মোড়ে৷

[ আরও পড়ুন: মমতার মঞ্চ পাশে নিয়েই রবিবার কোচবিহারে সভা করবেন মোদি]

শনিবার দুপুর নাগাদ পাওয়ার হাউস মোড়ের ওই এলাকায় একটি বাড়িতে দেওয়াল লিখন করছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা৷ সেই সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছান নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধানের ছেলে অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা৷ অভিযোগ, তাঁরা বিজেপি কর্মীদের দেওয়াল লিখনে বাধা দেন৷ তা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি দু’পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তাঁরা৷ এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হন৷ দলীয় কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং৷ নিজের ছেলে ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে ওঠা মারধরের অভিযোগ শুনে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ঘটনাস্থলে যান নৈহাটি পুরসভার প্রধানও৷ অর্জুন সিং এবং পুরপ্রধানের উপস্থিতিতে আবারও তৃণমূল-বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে৷ নৈহাটি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়৷ নামানো হয় ব়্যাফ৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: যশোর রোড অবরুদ্ধ করে শান্তনুর মিছিল, কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের]

বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, ‘‘আমরা গৃহকর্তার অনুমতি নিয়ে দেওয়াল লিখন করছিলাম৷ তা সত্ত্বেও তৃণমূলের তরফে গন্ডগোল করা হয়েছে৷’’ যদিও নৈহাটি পুরসভার প্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় তাঁর দাবি খারিজ করে দিয়েছেন৷ পালটা তিনি বলেন,‘‘কোনও অনুমতি ছাড়াই দেওয়াল লিখন করেছে গেরুয়া শিবির৷ বাড়ির মালিক তাতে বাধা দিতে গিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে অশান্তি হয়৷ এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই৷’’ তবে তৃণমূল নেতা যাই বলুন না কেন, বাড়ির মালিক কিন্তু বিজেপি কর্মীসমর্থকদের দেওয়াল লিখনের অনুমতি দিয়েছিলেন বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘বাংলায় বিয়াল্লিশে শূন্য পাবে বিজেপি’, আলিপুরদুয়ারে হুঙ্কার মমতার]

এদিকে, শুক্রবার রাতে দমদম কেন্দ্রে শমীক ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারের সময় বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ মারধর করে একজন বিজেপি কর্মীর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ৷ দু’টি পৃথক ঘটনাতেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে গেরুয়া শিবির৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ