ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: মোদির সভায় যাওয়ার অপরাধে বীরভূমে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। বুধবার রাতে পাড়ুইয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার বিজেপি কর্মীরা। এদিই আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি মহিলা মোর্চার নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার অপরাধে নানুরে এক বিজেপি কর্মীর পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে হামলায় গ্রেপ্তার ৫, এখনও থমথমে আলিগ্রাম়]
ইলামবাজারে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়ে হেনস্তার শিকার বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, প্রথম থেকেই বিজেপির স্থানীয় নেতা কর্মীদের সভায় যেতে বারণ করেছিল স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এমনকী সভায় যাওয়ার পথেও তাঁদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হুমকি উপেক্ষা করেই মোদির সভায় ভিড় জমান স্থানীয় বিজেপি সমর্থকরা। অভিযোগ, সভা থেকে ফেরার পর থেকেই হেনস্তার শিকার হতে হয় তাঁদের। এরপর বুধবার রাতে স্থানীয় মালা গ্রামের বিজেপি কর্মীদের মারধর করেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত হন ৩ জন। তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এদিন রাতে আক্রান্ত কর্মীদের বাড়িতে যান বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পাড়ুই থানার পুলিশ।
[আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার]
সভায় যাওয়ার কারণে শাসকদলের ক্ষোভের মুখে নানুরের অপর এক বিজেপি কর্মী সপ্তর্ষি গুপ্ত। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার অপরাধে তাঁর পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১টি ইঞ্জিন। তবে, পুড়ে গিয়েছে প্রায় ২৫০০ মুরগি। প্রবল ক্ষতির মুখে ওই বিজেপি কর্মী। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা কার্তিক দাস ও তাঁর দলবল এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মোদির সভায় যাওয়াকে কেন্দ্র করে এহেন ঘটনায় আতঙ্কিত বীরভূমের বাসিন্দারা।
দেখুন ভিডিও: