Advertisement
Advertisement
বিজেপি

রাজ্য কমিটির নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন, বিজেপির মণ্ডল গঠনে ধুন্ধুমার বারাসতে

বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

BJP'S inner clash broke out in North 24 Pargana's Barasat

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 27, 2019 10:53 am
  • Updated:November 27, 2019 10:54 am

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: রাজ্য কমিটির নির্দেশ ছিল, জেলাগুলির মণ্ডল সভাপতি নির্বাচিত নয়, মনোনীত হবেন। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করেই মণ্ডল সভাপতি বেছে নিতে নির্বাচন হল বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলায়। আর তার জেরেই মঙ্গলবার প্রকাশ্যে রাস্তায় গোষ্ঠীকোন্দলে জড়ালেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বচসা থেকে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িতে পড়ে তাঁরা।

বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত। জানা গিয়েছে, বারাসতের হেলাবটতলা মোড়ের কাছে এদিন বিজেপির মণ্ডল গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। রাজ্য কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী জেলাগুলির মণ্ডল সভপতি মনোনীত করার কথা ছিল। কিন্তু এদিন নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা করতেই গোলমাল বাঁধে। জেলা বিজেপির এক পক্ষ নতুন মণ্ডল সভাপতিদের মেনে নিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের দাবি, সাংগঠনিক নির্বাচনে মণ্ডল সভাপতি হিসাবে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছিলেন। অথচ অনুষ্ঠানে এসে অন্য নাম শুনতে পাচ্ছেন।

Advertisement

রাজকুমার পাল নামে এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, মণ্ডল সভাপতি পদের জন্য তিনি নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে তিনি ১৮টি ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর প্রতিপক্ষ পেয়েছিলেন একটি ভোট। অথচ মঙ্গলবার জেলা নেতৃত্ব মণ্ডল সভাপতি হিসাবে তাঁর প্রতিপক্ষের নাম ঘোষণা করেন। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “এগুলি হচ্ছে দিলীপের সঙ্গে মুকুলের বাহিনীর লড়াই। নিজেরাই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে শেষ হয়ে যাবে। তবে এদিন এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বারাসত শহরে, তা মেনে নেওয়া যায় না। প্রশাসনকে বলা হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই মালদার ১২টি বাড়ি, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার]

এদিনের অশান্তি নিয়ে জেলা বিজেপি-র ব্যাখ্যা, “বড় কোনও গন্ডগোল নয়, কয়েকজনের ক্ষোভ হয়েছিল। পরে আলোচনার মাধ্যমে মিটে গিয়েছে।” জেলা বিজেপির একাংশ নেতৃত্ব এই ঘটনার দায় জেলা সভাপতির ঘাড়েই ঠেলেছেন। জেলা সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁদের দাবি, নির্বাচন করার জন্যই সমস্যা হয়েছে। রাজ্য কমিটির নির্দেশ মেনে মণ্ডল সভাপতিদের মনোনীত করলে গন্ডগোল এড়ানো যেত। তবে এ বিষয়ে জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ