সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত বিহারের বাসিন্দার দেহ চলে এল কাকদ্বীপে। শেষ মুহূর্তে ভাঙল ভুল। এরপরই প্রশাসনের সহযোগিতায় দেহ ফেরত পাঠানো হল ওড়িশায়। এদিকে এখনও বেপাত্তা কাকদ্বীপের সামসুল হুদা শেখ। সবমিলিয়ে জটিলতা চরমে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের মধুসুদনপুরের বাসিন্দা সামসুল হুদা শেখ। অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পরিবারের সদস্যরা ছুটেছিলেন ওড়িশা। প্রিয়জনের নিথর দেহের অপেক্ষায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দেহ ফের কাকদ্বীপে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বদলে গেল গোটা ছবি। কাকদ্বীপের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের সময় সামসুল ভেবে আনা দেহের পকেটে পাওয়া যায় আধার কার্ড। সেখানে দেখা যায়, নাম রাজা সাহানিয়া। বিহারের বাসিন্দা ওই যুবক।
এরপরই নতুন করে শুরু সমস্যা। বিষয়টা জানাজানি হতেই সামসুলের পরিবার জানিয়ে দেয়, তাঁরা দেহ নেবে না। বাধ্য হয়ে প্রশাসনের তরফে ফের দেহ ফেরত পাঠানো হয় ওড়িশায়। তবে কোথায় সামসুল? বেঁচে আছেন তিনি? গোটাটাই এখনও ধোঁয়াশা। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সন্ধেয় ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা। বালাসোরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও হামসফর এক্সপ্রেস। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে করমণ্ডলের একাধিক কামরার। মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৭৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ১০৩ জন বাংলার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.