ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে ৪৮ঘণ্টা সাধারণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনও অশান্তি, আতঙ্কের পরিবেশ রাজ্যে। বুধবার সকালে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ছড়িয়ে পড়ল বোমাতঙ্ক। সকাল সাতটা নাগাদ হাবড়া ও অশোকনগরের মাঝে রবীন্দ্রনগর ২৭ নং রেলগেটের কাছে লাইনে বোমার মতো বস্তু দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ২টি বস্তু রেলট্র্যাকের ওপর পড়ে ছিল। একই ধরনের ৩টি বস্তু তারই আশেপাশে দেখতে পাওয়া যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় জিআরপিকে। বোমাতঙ্কের জেরে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে প্রায় ঘণ্টা তিনেকের জন্য ব্যাহত হয়ে পড়ে শিয়ালদহ-বনগাঁ লাইনের রেল চলাচল।
ঘটনাস্থলে জিআরপির পৌঁছে সন্দেহজনক বস্তুগুলি উদ্ধার করে। জিআরপি সূত্রে খবর, ওগুলো বোমার মতো দেখতে হলেও আদতে বিপজ্জনক কিছু ছিল না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয় জিআরপির তরফে। তারপর সাড়ে দশটা থেকে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। মঙ্গলবার ধর্মঘটের প্রথম দিন দত্তপুকুর এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২টি দেশি বোমা। তার জেরে এমনিতেই আতঙ্কের পরিবেশ ছিল। এরপর বুধবার সকালেও একইরকম জিনিস দেখতে পেয়ে স্বভাবতই ভয় পেয়ে যান নিত্যযাত্রী, স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অনুমান, আতঙ্ক ছড়াতেই রেললাইনে এসব ফেলে রেখেছে অবরোধকারীরা। একই অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। শাসকদলের নেতাদের কথায়, মঙ্গলবার ধর্মঘট সফল হয়নি। বুধবার শেষদিনে জোর করে সব অচল করার লক্ষ্যে এমন কাজ ধর্মঘটীদের। তবে কারা, কী কারণে এমন কাজ করল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জিআরপি সূত্রে খবর।
[ফের উত্তপ্ত যাদবপুর, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন বাম কর্মীদের]
সাধারণত কোনও ধর্মঘট, বনধ সফল করতে দেশের সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয়, নির্ভরশীল যোগাযোগ ব্যবস্থা রেল পরিষেবাকেই টার্গেট করা হয়। রেল চলাচল ব্যাহত হলে জনজীবন স্বাভাবিক রাখা রীতিমত কষ্টকর হয়ে ওঠে। এবারের ৪৮ঘণ্টা ধর্মঘটে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও সেই একই পথে হেঁটেছে। মঙ্গলবারও নানা দিকে রেলপথ আটকানোর চেষ্টা হয়েছে। বুধবারও বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে রেল চলাচল ব্যাহত করার চেষ্টা চোখে পড়ল হাবড়ায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.