Advertisement
Advertisement

রমজান মাসে ব্যস্ততা তুঙ্গে, এবার বর্ধমানের মহিলাদের তৈরি টুপি যাচ্ছে আরবে

তিন দশক ধরে টুপি তৈরি করছেন ওঁয়াড়ি ও কৈশর গ্রামের সংখ্যালঘু মহিলারা।

Burdwan made Taqiyah to export for Saudi Arabian market
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 5, 2018 6:36 pm
  • Updated:June 5, 2018 6:36 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদবাক্যকে সার্থক করে তুলেছেন পূর্ব বর্ধমানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা। জেলা তো বটেই, খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি ও কৈশর গ্রামের মহিলাদের তৈরি টুপির কদর গোটা দেশেই। আর এবার তাঁদের তৈরি টুপি পাড়ি দিচ্ছে সুদূর আরবে। দম ফেলার ফুরসত নেই মহিলা টুপি কারিগরদের।

[এবার প্রকাশ্য ইদের নমাজ পড়বেন বর্ধমানের মহিলারা]

Advertisement

পবিত্র রমজান মাস চলছে। ধর্মীয় রীতি মেনে দিনভর রোজা রাখছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রমজান মাস শেষ হলেই খুশির ইদ। ইদের সকালে নতুন জামা ও টুপি পরে নমাজ পড়াই দস্তুর। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মুসলিমদের টুপি তৈরি করছেন পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের ওঁয়াড়ি কৈশর গ্রামের সংখ্যালঘু মহিলারাই। সত্যি কথা বলতে, ওই দুই গ্রামে টুপি তৈরি কার্যত কুটিরশিল্পের চেহারা নিয়েছেন। খণ্ডঘোষের মুসলিম মহিলাদের তৈরি টুপির খ্যাতি জেলা ও রাজ্যের সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। আর এবার সেই বাহারি টুপি পাড়ি দেবে সূদূর আরবে। ফলে দম ফেলার ফুসরত নেই মহিলাদের। দিনরাত এক করে টুপি তৈরি করে চলেছেন তাঁরা।

Advertisement

[পাত্রী নাবালিকা, রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন বাতিল করল প্রশাসন]

কৃষিপ্রধান জেলা পূর্ব বর্ধমান। জেলার সিংহভাগ মানুষেরই পেশা বলতে চাষ-আবাদ। ব্যতিক্রম নয় খণ্ডঘোষের সংখ্যালঘু অধ্যূষিত ওঁয়াড়ি ও  কৈশর গ্রামও। তবে বাড়তি রোজগারে আশায় অবসর সময়ে বাহারি টুপি তৈরি করেন ওই দুই গ্রামের সংখ্যালঘু মহিলারা। রোজগারও মন্দ হয় না। টুপি তৈরিতে যুক্ত ওঁয়াড়ি ও কৈশর গ্রামের কয়েকশো মহিলা। মিদ্যা মফরুজা বেগম, সাবিনা বেগমরা জানান, সাধারণ একটি টুপি তৈরি করলে ২৫ টাকা মজুরি পাওয়া যায়। তবে নকশা করা বা বাহারি টুরি পারিশ্রমিক প্রায় ২০০ টাকা। বছরের অন্য সময়ে তুলনামূলকভাবে টুপির চাহিদা কমে থাকে। তবে রমজানের একমাস কার্যত নাওয়া-খাওয়ার সময় পান না ওঁয়াড়ি ও কৈশর গ্রামের মহিলারা। টুপি বিপণনে সরকারি সাহায্য চান তাঁরা। সংখ্যালঘু মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।

ছবি: মুকুলেসুর রহমান

[বিস্মৃতি কাটিয়ে ২০ বছর পর বাড়ি ফিরলেন মহম্মদবাজারের টগরি বিবি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ