Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিরল অস্ত্রপচার

ফ্যালোপিয়ন টিউব ফেটে রক্তক্ষরণ, জটিল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল রোগীর

দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ওই মহিলা।

By rare and complex operation doctors save the patient in Balurghat
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 27, 2019 9:33 pm
  • Updated:April 27, 2019 9:33 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: জটিল অপারেশানের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচিয়ে ফের সফল বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি  হাসপাতাল। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে সফল অস্ত্রোপচার করে জীবন সংকট থেকে রোগীকে উদ্ধার করলেন বালুরঘাট হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন মুস্তাফি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হিলি থানার তিওড়ের ফেরুসা এলাকার বাসিন্দা টপি ঘোষ  পেটে মারাত্মক যন্ত্রণা নিয়ে শনিবার ভোরে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন। গ্যাসের ব্যথা ভেবে তাঁকে জরুরি বিভাগ থেকে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসা বিভাগে ভরতি করা হয়। কিন্তু ওষুধ, ইঞ্জেকশনে কোনও কাজ হয়নি। টপিদেবীর পেটের ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে। দ্রুত পালস বিটও নেমে যায়। বেগতিক অবস্থা দেখে ডাকা হয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রঞ্জন মুস্তাফিকে। তাঁর প্রচেষ্টাতেই অসাধ্য সাধন হয়। জানা গিয়েছে, টপিদেবী এসটপিক প্রেগনেন্সিতে ভুগছিলেন৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: তীব্র দাবদাহে পুড়বে দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা ]

Advertisement

চিকিৎসক রঞ্জন মুস্তাফি বলেন, “এসটপিক প্রেগনেন্সির জেরে টিউব ফেটে পেটের ভিতর প্রচুর রক্ত জমাট বেঁধে প্রাণ সংশয় হয়ে উঠেছিল এক মহিলার। সকাল ৭টা নাগাদ গিয়ে দেখি রোগী রক্তশূন্য হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন।” অভিজ্ঞতা থেকে রোগের কারণ ধরে তিনি রোগীকে ওটি-তে নিয়ে দ্রুত অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেন। দুই হাত ও পায়ে স্যালাইন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্ত দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি অস্ত্রোপচার করা হয়। পেটের ভেতর ফেটে যাওয়া  ফ্যালোপিয়ান টিউব কেটে বাদ দেওয়া হয়। পেটের ভিতর থেকে জমাট বেঁধে থাকা প্রায় ৪ লিটার রক্ত বেরোয়৷

প্রায় আধঘন্টার সফল অস্ত্রোপচারে প্রাণসংশয় কেটে গিয়েছে রোগীর। চার বোতল রক্ত দেওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, “ওই রোগী দু’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গর্ভথলির বদলে টিউবের মধ্যে গর্ভসঞ্চার হওয়ায় দেখা দেয় জটিলতা। ঋতুস্রাব নিয়মিত হওয়ায় বাড়ির লোকও তার গর্ভাবস্থার বিষয়টি আঁচ করতে পারেননি। এরপর টিউব ফেটে ক্রমশ রক্তক্ষরণে রোগীর অবস্থা জটিল হয়ে পড়ে। এদিন পরিস্থিত দেখেই রাফচার এসটপিক প্রেগনেন্সির বিষয়টি ধরতে পেরে দ্রুত অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নিই।” অপারেশন থিয়েটারে অ্যানাস্থেশিস্ট অরিন্দম দাস,  নার্স ও অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির  সাহায্যে রোগীর প্রাণরক্ষা সম্ভব হয়েছে। এদিন টপিদেবীর স্বামী চিত্ত ঘোষ বলেন, “হাসপাতালের চিকিৎসকের চেষ্টায় মরাণাপন্ন স্ত্রীকে ফিরে পেলাম।” এমন জটিল অস্ত্রোপচার সাফল্যের সঙ্গে করে ফের রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থায় এক নজির রাখলেন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷

ছবি: রতন দে

[ আরও পড়ুন: ‘ভোটের দিন আদর-সোহাগ থাকবে’, শেষবেলার প্রচারে প্রেমের বাণী অনুব্রতর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ