সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ দফা শেষ। রবিবার ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। ১৯ মে অর্থাৎ সপ্তম দফায় দমদম লোকসভা আসনে ভোট। হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। তাই প্রচারে ব্যস্ত সব শিবিরই। শাসকদলের পাশাপাশি প্রচারে ব্যস্ত বিরোধীরাও৷ শনিবার সকালে দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রচারে বেরোন দমদম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। স্বাভাবিকভাবেই ছন্দেই শুরু হয় প্রচার। কিন্তু মিছিলের মাঝে হঠাৎই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির কর্মীরা। কিন্তু ইস্যু কী? মুকুল রায়ের গলায় মালা পরাবেন কে? তা নিয়ে তর্কাতর্কির জেরেই ধুন্ধুমার৷
[আরও পড়ুন: ব্রাত্য পুরুষ, দেওয়াল লিখন থেকে বুথ এজেন্টের দায়িত্বে তৃণমূলের নারী ব্রিগেড ]
শনিবার সকালে যশোর রোডের দমদম পার্ক এলাকা থেকে রোড শো শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্য। শুরু থেকেই সঙ্গে ছিলেন মুকুল রায়৷ জানা গিয়েছে, মিছিল পোস্ট অফিস রোডে উঠতেই একদল বিজেপি কর্মী মালা হাতে নিয়ে প্রচার গাড়ির দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। অভিযোগ, বিষয়টি নজরে পড়তেই বিজেপির অপর গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই দলকে আটকে দেয়। এতেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। বচসা থেকেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। দু’দলের ঝামেলায় থমকে যায় মিছিল।
[আরও পড়ুন: বসিরহাটে বহিরাগতদের দিয়ে দাঙ্গার নেপথ্যে বিএসএফ, হাড়োয়ায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী]
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এখনও মুখ খোলেননি। তবে ভোটের মুখে বিরোধীদের এই বচসাকে হাতিয়ার করেছে শাসকদল। বিরোধীদের কটাক্ষ করে শাসকদলের নেতাদের মন্তব্য, “যাঁরা মালা পরানো নিয়ে রাস্তার মাঝে ঝগড়া করে, হাতাহাতি করে তাঁরা ভোটে জিতলে কী করবে সবাই বুঝতে পারছে!” পর্যবেক্ষকদের মতে, দমদম লোকসভা কেন্দ্র শাসক-বিরোধী উভয়ের কাছেই রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে দাঁড়িয়ে মালা পরানো নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাতাহাতিকে রাজনৈতিক বালখিল্য বলেই মনে করছেন অনেকে। প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দমদম।
অন্যদিকে, পাইকপাড়ায় বিজেপির মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার অভিযোগ, শনিবার সকালে মিছিল চলাকালীন ৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের নেতৃত্বে শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির মিছিলে হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।