সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের আসন সংখ্যা একশোর নিচে নামিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বুক বাঁধছেন তিনি। অথচ ঘরোয়া অশান্তি সামাল দিতেই হিমশিম দশা। ভাঙা ঘর নিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়বেন কীভাবে? বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি ঘিরে যেভাবে বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ল, তাতে এসব প্রশ্নই উঠছে।
বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে গড়বেতায় গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখান থেকেই তিনি হুঙ্কার দেন, ”আগামী নির্বাচনে মমতাকে একশোর নিচে নামাব। তখন বুঝবে, কত ধানে কত চাল।” একুশের নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে আরও অনেক দাওয়াই দেন তিনি। এরপর গড়বেতায় মণ্ডল কমিটি নিয়ে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই শুরু হয় গন্ডগোল। নবীন বনাম প্রবীণ নেতৃত্বের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধে যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে গড়বেতার বিজেপি প্রার্থী প্রদীপ কুমার লোধা অভিযোগ করেন, এই বৈঠকে তিনি ও তাঁর অনুগামীরা আমন্ত্রণ পাননি। অথচ তাঁরা দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা বলতে চান। এই দাবিতে বৈঠকে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাধা পান।
[আরও পডুন: আমফানে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ, জুতো-ঝাঁটা নিয়ে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ মহিলাদের]
প্রদীপ লোধা ও তাঁর অনুগামীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দলের জেলা সভাপতি এবং জেলা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। রাজ্য সভাপতির সামনেই কোন্দলে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ দিলীপ ঘোষকেই হস্তক্ষেপ করতে হয়। তিনি প্রথমে জানান, আমন্ত্রিতরাই বৈঠকে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন। এরপর প্রবল চাপের মুখে পড়ে তিনি সকলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিলে, বচসা মিটে যায় তখনকার মতো। মণ্ডল কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি আরেকটি দলের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। নির্দেশ দেন, সংগঠন মজবুত করার স্বার্থে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রাখা যাবে না। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।