Advertisement
Advertisement

বিরোধী নেতা নির্বাচন নিয়ে জলঘোলা কংগ্রেসে!

কংগ্রেস সূত্রে খবর, মানস-মান্নানের মধ্য থেকেই একজনকে বিরোধী দলনেতা করা হবে৷ তবে কংগ্রেসের শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির নিজের জেলা৷ সেখান থেকে কোনও বিধায়ককে বিরোধী দলনেতা করা হোক, এমনটাই চাইছে কংগ্রেসের একটি অংশের নেতারা৷ গত মঙ্গলবার দলের নবনির্বাচিত ৪৪ জন বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি ও সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ বামেদের থেকে বিধায়ক সংখ্যা বেশি থাকায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেতে চলেছে কংগ্রেস৷ কাকে বিরোধী দলনেতা করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা করেও ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ অধীর চৌধুরি বলেন, "বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি৷ আমরা ৪৪ জন বিধায়কের বায়োডাটা দিল্লিতে পাঠিয়েছি৷"

Congress is in inner tussle to decide the opposition leader
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 27, 2016 9:50 am
  • Updated:May 27, 2016 9:50 am

স্টাফ রিপোর্টার: বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করতে পারেনি প্রদেশ কংগ্রেস৷ এবার দিল্লি থেকে সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে রাজ্যে এসে কংগ্রেস বিধায়কদের মধ্য থেকে নির্বাচন করতে হচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে৷ তবে এই নির্বাচনকে ঘিরেই দলের ঘরোয়া অবস্থানে চাপা উত্তেজনা৷
শুক্রবার বিধান ভবনে জরুরিভিত্তিতে ৪৪ জন কংগ্রেস বিধায়ককে বৈঠকে ডেকেছে এআইসিসি৷ বৈঠকে থাকবেন অম্বিকা সোনি, সি পি যোশীর মতো সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ বৈঠকে বিধায়কদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হবে, কাকে তাঁরা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে দেখতে চান৷ বিধায়কদের মতামতের উপর ভিত্তি করেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা হবে৷ তবে বিরোধী দলনেতা হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন তিনজন৷ এর মধ্যে মানস ভুঁইয়া, আবদুল মান্নান দু’জনই সুবক্তা৷ দু’জনেরই বিধানসভার পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান রয়েছে৷ এর আগেও বিধানসভা ও প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন মানস ও মান্নান৷ এছাড়াও আচমকাই খুব বেশি করে নাম ছড়িয়েছে আবু হেনার৷ মুর্শিদাবাদের এই নেতা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ আবু হেনা আগে কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেছেন৷ কিন্তু তিনি আপাতনিরীহ৷ জোরে কথা বলতেও দেখা যায়নি প্রায়৷ তাই কতটা বিধায়কদের ‘ট্যাকল’ করতে পারেন, সন্দেহ দলেই৷ পাশাপাশি মমতা-বিরোধিতায় তাঁকে চড়া মুখ করতে ভরসা নেই দলেরই একটি অংশের৷ সেক্ষেত্রে মানস ভুঁইয়া বা আবদুল মান্নান অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য৷ মুর্শিদাবাদ লবির না হয়েও দু’জনেরই পরিষদীয় রাজনীতিতে অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ মান্নান তো আবার মমতা-বিরোধিতায় চরমপন্থীদের দলে৷ বক্তা হিসাবে মানস ভুঁইয়ার গ্রহণযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত৷

কংগ্রেস সূত্রে খবর, মানস-মান্নানের মধ্য থেকেই একজনকে বিরোধী দলনেতা করা হবে৷ তবে কংগ্রেসের শিবিরের একটি অংশের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির নিজের জেলা৷ সেখান থেকে কোনও বিধায়ককে বিরোধী দলনেতা করা হোক, এমনটাই চাইছে কংগ্রেসের একটি অংশের নেতারা৷ গত মঙ্গলবার দলের নবনির্বাচিত ৪৪ জন বিধায়ক, সাংসদ, জেলা সভাপতি ও সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি৷ বামেদের থেকে বিধায়ক সংখ্যা বেশি থাকায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেতে চলেছে কংগ্রেস৷ কাকে বিরোধী দলনেতা করা হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠকে সবিস্তার আলোচনা করেও ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ অধীর চৌধুরি বলেন, “বিরোধী দলনেতা কে হবেন, তার সিদ্ধান্ত নেবে এআইসিসি৷ আমরা ৪৪ জন বিধায়কের বায়োডাটা দিল্লিতে পাঠিয়েছি৷”

Advertisement

শুক্রবার রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে দিল্লির নেতারা সুষ্ঠুভাবে আদৌ বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার৷ কারণ অতীতের ঘটনা বলছে, নেতা বাছাই নিয়ে এর আগে বহুবার গন্ডগোলের ঘটনা ঘটেছে বিধান ভবনে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ