Advertisement
Advertisement

Breaking News

নকল চাল

নামী ব্র্যান্ডের মোড়কে নকল চাল বিক্রি, রায়নায় পুলিশের জালে অবৈধ চক্র

পুলিশি অভিযানে ৬৫ প্যাকেট নকল চাল বাজেয়াপ্ত৷

Cops nab trader selling duplicate branded rice, racket busted
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 15, 2019 11:15 am
  • Updated:May 15, 2019 11:15 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কেরলে একটি নামী ব্র্যান্ডের চালের ট্রেডমার্ক নকল করে তা বিক্রির অভিযোগে পুলিশের জালে বর্ধমানের রায়নার গোটা চক্র৷ ওই বিখ্যাত ব্র্যান্ডের নাম করে এখান থেকে নিম্নমানের বিরিয়ানির চাল সেখানে পাচার করা হত৷ কেরলের সেই সংস্থার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে কোঝিকোড়ের-ভাদোকারা থানার পুলিশ। খোঁজ মেলে, বর্ধমানের রায়না থেকে চলছে এই চক্র৷ তাই রায়না পুলিশের সাহায্যে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ আর তার সূত্র ধরেই মিলল গোটা চক্রের হদিশ৷

[আরও পড়ুন : বিশ্বভারতীতে বেলাগাম ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীরা]

ধৃত যুবকের নাম কিরণ মল্লিক। রায়না থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামসুন্দর এলাকার বাড়ি থেকে কিরণকে গ্রেপ্তার করে কেরল পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতকে চারদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন কেরল পুলিশের তদন্তকারী অফিসার আর কে বিজু। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন৷মঙ্গলবার আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলায় ধৃতের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। ধৃত কিরণ নিজেই আদালতে সওয়াল করেন৷ তিনি জানান, আদৌ এ ধরনের কাজ করেননি। তিনি পড়াশোনা করেন। এক দালালের মাধ্যমে তাঁদের সংস্থা কেরলে চাল পাঠিয়েছিল। সেখানেই ট্রেড মার্ক নকল করে সেখানকার কোম্পানির ছাপ দেওয়া বস্তাবন্দি চাল বিকিকিনি হচ্ছিল৷ কিরণের দাবি, এই নকলের কারবারে জড়িত নয়। সেই চালের বস্তাও ওখানেই তৈরি হয়েছে। মুখ্য বিচারক রতনকুমার গুপ্তা ধৃতের যুক্তি খারিজ করে তদন্তকারী অফিসারের আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি জানিয়েছেন, কেরলের আদালতে ধৃতকে পেশ করা সংক্রান্ত রিপোর্ট বর্ধমান আদালতে পেশ করতে হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : কে জিতছে পুরুলিয়ায়? লাখ টাকার বাজি বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকের]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিরণের একটি সংস্থা আছে, যারা চালের ব্যবসা করে। শ্যামসুন্দরেই সংস্থার কার্যালয় আছে। এখান থেকে কেরলে বিরিয়ানির চাল সরবরাহ করে কিরণের সংস্থা। তারপর সেই চাল কেরলের একটি নামী সংস্থার ব্র্যান্ড নকল করে প্যাকেটজাত করে সেখানে বিক্রি করা হয়। বিষয়টি কেরলের সেই সংস্থার নজরে আসায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে ভাদোকারা থানার পুলিশ। তারা কেরলের এক ব্যক্তিকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জেরা করে কেরল পুলিশ জানতে পারে এই কারবারে রায়নার কিরণ-সহ আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যে দু’জন আদালতে আগাম জামিনের আবেদনও করেছে। কেরল পুলিশের তদন্তকারী অফিসার এদিন জানিয়েছেন, অভিযোগ অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ৬৫ প্যাকেট নকল ব্র্যান্ডের চাল বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। 

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ