Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

করোনা গুজবের শিকার মহিলার কাতর ভিডিও, হদিশ পেয়েই তৎপর পুলিশ

ভিডিওর সূত্র ধরে মহিলার সন্ধান পান জামুড়িয়ার তৃণমূল নেতা পূর্ণশশী রায়। তারপর...

Corona victim posts heart wrenching video, cops come to rescue
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 10, 2020 10:59 pm
  • Updated:August 10, 2020 10:59 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: “করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে আজ পুরো দেশ লড়ছে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের রোগের সঙ্গে লড়তে হবে, রোগীর সাথে নয়…।” ফোনে বারবার শোনা যায় এই কথা। তাতে পিউ মিত্রর অন্তত কোনও লাভ হল না। করোনা গুজবের শিকার হয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিনরাত্রি কাটাতে হল তাঁকে। শেষমেশ কাতর আরজি জানাতে হল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

কয়েকদিন আগের লাইভ এই ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওয় কাঁদতে কাঁদতে পিউ মিত্রকে পুলিশ ও প্রশাসনের সাহায্য চেয়ে বলতে শোনা যাচ্ছে, “আমি করোনা রোগী নই। আমার ও আমার পরিবারের সঙ্গে দয়া করে দুর্ব্যবহার করবেন না। আমাদের সামাজিক বয়কট করবেন না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘রাজ্যে যা উন্নয়ন হয়েছে তার একাংশও করতে পারবে না বিজেপি’, ফের খোঁচা অনুব্রতর]

ভিডিওটি ভাইরাল হলেও মহিলা কোথায় থাকেন বা তাঁর পরিচয় কী? তা প্রথমে জানা যায়নি। পিউ দেবীর হোম টাউন শিলং চম্পকডাঙা দেওয়া থাকায় বিভ্রান্তি আরও বাড়ে। বহু মানুষ ম্যাসেঞ্জারে বা টাইম লাইনে পিউ মিত্র জানার কাছে তাঁর ঠিকানা জানতে চেয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন ফোন নম্বর। জানা সম্ভব হয়নি।

শেষ পর্যন্ত আসানসোল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য তথা জামুড়িয়ার তৃণমূল নেতা পূর্ণশশী রায় প্রথম ওই মহিলার হদিশ পান। তিনি সন্ধান পেয়েই পুলিশকে খবর দেন। জানা যায়, মহিলার বাড়ি বারাবনি লাগোয়া জামুড়িয়ার শিবপুর পানিহাটি এলাকায়। জামুড়িয়া পুলিশকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়। খবর পেয়ে, পুলিশ পিউ মিত্র জানার সঙ্গে কথা বলে। পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হয়। জানা যায়, জামুড়িয়া থানার অন্তর্গত শিবপুর পাওয়ার হাউস এলাকার আবাসনে পরিবার নিয়ে বাস করেন পার্থ জানা ও তাঁর স্ত্রী পিউ মিত্র জানা। বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করেন পার্থবাবু। স্ত্রী পিউ মিত্র জানা গৃহবধূ। তাঁদের চার বছরের এক সন্তান আছে। পিউদেবী জানান, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। বলা হয়েছিল অস্ত্রোপচার করতে হবে। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষাও করা হয়েছিল। কিন্তু শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দেখে চিকিৎসকরা ডিক্লাইন রিপোর্ট দেন। তবে করোনা পরিস্থিতিতে অস্ত্রোপচার সম্ভব নয় বলেই ৫ অগাস্ট ফেরেন বাড়িতে। ফেরার পরের দিন থেকেই তাঁকে করোনা আক্রান্ত বলে এলাকায় গুজব ছড়াতে শুরু করেন স্থানীয়দের একাংশ। গুজব এমন জায়গায় পৌঁছায়, পাড়ার দোকানদার তাঁদের জিনিস দিতে অস্বীকার করেন। দুধওয়ালা থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করা প্রত্যেকে আসা বন্ধ করে দেওয়া দেন। এমনকী আমাদের বাড়ি থেকে বের হতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

[আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনামুক্ত ৩২০৮ জন, একলাফে অনেকখানি বাড়ল সুস্থতার হার]

রবিবার জামুড়িয়া থানার পুলিশকর্মীরা ওই পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায় বলেন, “ওই মহিলা পরিচয় ও ঠিকানা পেয়েই আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ গিয়ে তাঁদের খোঁজ খবর নিয়ে আতঙ্কমুক্ত করেছে। জামুড়িয়া পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার এখন আতঙ্ক মুক্ত। পাড়া প্রতিবেশীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যেন গুজব না ছড়ানো হয়।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ