সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: করোনার ধাক্কায় বদলে গেল পেশা। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য শাক-সবজি, মাছ বাদে লকডাউনে ছাড় রয়েছে শুধুমাত্র ওষুধে। ফলে যারা ফাস্টফুডের ব্যবসা করতেন কিংবা সেলুনে কাজ করতেন তাদের রুজিরুটি বন্ধ হওয়ার জোগাড়। অগত্যা বিকল্প পথ খুঁজে নিলেন তাঁরা। কেউ শুরু করেছেন সবজির ব্যবসা কেউ আবার মাছ!
রাখঢাক না করেই তাঁরা সাফ বললেন, “পেট তো চালাতে হবে। দু’দিন ধরে দোকান খোলা বলে তবুও কয়েকশো টাকা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছি। হাত গুটিয়ে বসে থাকলে তো সেটুকুও জুটবে না।” শুধু দরিদ্ররাই নন, প্রতিষ্ঠিত কাপড়ের ব্যবসায়ী কিংবা সাইকেল রিপিয়ারিং সেন্টারের মালিকও সবজি বিক্রির সহজ পন্থা বেছে নিয়েছেন। যদিও লকডাউন শিথিল হলেই স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। তবে যে কদিন উপায় নেই সেই কদিন বাড়তি রোজগার দিচ্ছে এই সহজ ব্যবসা। কেউ কেউ আবার দুধ, চালের বস্তা, মুড়ির প্যাকেট দিয়ে অস্থায়ী মুদিখানাও সাজিয়ে ফেলেছেন। আবার সরকারি নির্দেশে গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় টোটোয় সবজি নিয়ে ঘুরছেন কেউ কেউ।
এক ব্যবসায়ীর কথায়, “শুধু ভোর চারটেয় উঠতে হচ্ছে, এই যা। বিক্রি হচ্ছে দিনভর।” সাইকেল কিংবা স্কুটারের পিছনে শাক-সবজি চাপিয়ে অনেকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গ্রামে গ্রামে। খড়িবাড়ির গোপাল দাস, একটি সাইকেল রিপেয়ারিং সেন্টার চালান। গত এক সপ্তাহ ধরে তা বন্ধ। তাই পেটের তাগিদে স্থানীয় পুকুর থেকে চাষ করা রুই-কাতলা নিয়ে ফেরি করছেন। তাতে দিনশেষে যা উপার্জন হচ্ছে তাতে দিন কেটে যাচ্ছে। তেমনই সারা বছর মোমো-চাউমিন বিক্রি করেন নকশালবাড়ির দিবাকর পাল। তিনি ওই বাজারে বাঁধাকপি ফুলকপির বস্তা নিয়ে এসে বাড়ির সামনে দোকান সাজিয়েছেন, বিক্রিও হচ্ছে ভালই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.