ছবি: প্রতীকী
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বারবার দুই বাড়ি থেকে এসেছে আপত্তি। সম্পর্ক মানেনি পরিবার। বরং সম্পর্ক নিয়ে প্রতিনিয়তই চলত ঝামেলা। তার জেরে অভিমানে আত্মঘাতী যুগল। পুকুর পাড়ে গাছ থেকে উদ্ধার যুগলের ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। সম্পর্কের টানাপোড়েনে আত্মহত্যা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
মুরারই থানার মাঠ কড়ঞ্চা গ্রামের বাসিন্দা শ্রবণ মাল। বছর বাইশের ওই যুবক পেশায় ঠিকা শ্রমিক। এলাকারই এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাঁর। খুব অল্প সময়ের মধ্যে দুই পরিবারের প্রেমের কথা জেনে ফেলে। তবে সম্পর্কে আপত্তি ছিল দুই পরিবারের। নাবালিকার পরিবারের দাবি, একে তো মেয়েটির এখনও বিয়ের বয়স হয়নি। তার উপর শ্রবণের আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। তাই সম্পর্কে আপত্তি ছিল পরিজনদের। আবার শ্রবণের বাড়ির লোকও বয়সের ফারাকের কথা ভেবে সম্পর্কে এখনই রাজি ছিলেন না।
তবে তা সত্ত্বেও পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে সম্পর্ক রেখেই চলেছিলেন শ্রবণ ও তাঁর প্রেমিকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা দু’জনেই বিয়ে করে থিতু হওয়ার কথা ভাবছিলেন দু’জনে। তবে পরিবারের তরফে তাতেও বাধা দেওয়া হয়। আর কয়েকটা বছর অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছিল। তবে তাতে সহমত হয়ে পারছিলেন না শ্রবণ ও ওই নাবালিকা। তা নিয়ে দু’জনের মনোমালিন্য চলছিল।
এই টানাপোড়েনের মাঝে রবিবার সকালে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে গিয়ে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। তাঁরা দেখেন, গাছ থেকে শ্রবণ ও ওই নাবালিকার দেহ ঝুলছে। একই ওড়নায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাঁদের। তড়িঘড়ি দু’জনের বাড়িতে খবর দেন স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মুরারই থানার পুলিশ। দেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.