Advertisement
Advertisement
দক্ষিণেশ্বর

পুজোয় দেওয়া যাবে না ফুল, মিলবে না চরণামৃত, একাধিক নিয়ম মেনে খুলল দক্ষিণেশ্বরের মন্দির

মন্দিরে ঢোকার আগে দু'বার থার্মাল স্ক্রিনিং হচ্ছে ভক্তদের।

Dakhineshwar Mandir is reopened from 13 July, people should maintain health guideline

ফাইল ছবি

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 13, 2020 11:38 am
  • Updated:June 13, 2020 3:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’মাস বন্ধ থাকার পর খুলল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। তবে তার আগে থেকেই মন্দিরের বাইরে ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ে যায়। লাইন পৌঁছে যায় স্কাইওয়াক পর্যন্ত।

করোনা আবহে লকডাউনের শুরু থেকেই বন্ধ ছিল দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। এরপর ১ জুন থেকে রাজ্যে মন্দিক-মসজিদ-ধর্মস্থান খুনে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ধর্মস্থানগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। কিন্তু সেই সময় মন্দিরের দরজা উন্মুক্ত করেনি দক্ষিণেশ্বর। কিছুদিন সময় চেয়েছিল মন্দির কমিটি। অবশেষে শনিবার, ১৩ জুন সকালে আমজনতার জন্য মন্দিরের দরজা খুলল। প্রথম পুজো দেওয়া জন্য ডালা হাতে ভক্তদের লম্বা লাইন দেখা যায় মন্দিরের বাইরে। সামাজিক দূরত্ব মেনেই পুজো দেওয়ার জন্য লাইন দেন তাঁরা। প্রত্যেকের মুখেই ছিল মাস্ক।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পুরনো যন্ত্র ও অদম্য জেদই সম্বল, করোনা টেস্টে নাইসেডকে পিছনে ফেলে প্রথম উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল ]

সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছে মন্দির কমিটিও। লাইন শুরু হওয়ার আগে ভক্তদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে তবেই লাইন দেওয়া যাচ্ছে। সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যাতে ভঙ্গ না হয়, তাই নির্দিষ্ট দূরত্বে কাটা হয়েছে দাগ। সেখানেই দাঁড়াতে হচ্ছে ভক্তদের। মন্দিরের গেটের কাছে ফের স্ক্রিনিং হচ্ছে। তখনই জমা নেওয়া হচ্ছে মোবাইল, জুতো-সহ অন্যান্য জিনিস। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রত্যেকেই পিপিই কিট পরে কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৩.৩০ থেকে সাড়ে ৬.৩০টা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা থাকবে। মন্দিরে পুজো দেওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছে একাধিক নিয়ম। একনজরে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক-

Advertisement

১. মন্দিরে প্রবেশের আগে দু’বার থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। দু’বারই উত্তীর্ণ হলে মিলবে মন্দিরে প্রবেশের ছাড়পত্র।

২. সামাজিক দূরত্ব মেনে ভক্তদের পুজোর লাইনে দাঁড়াতে হবে।

৩. পুজোর অর্ঘ্যে দেওয়া যাবে না ফুল।

৪. পুরোহিতরা চরণামৃত দেবেন না।

৫. প্রসাদ হিসেবে শুধুমাত্র মিষ্টি দেওয়া হবে।

৬. একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ভক্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না।

৭. ডালার দোকানগুলি সব একসঙ্গে খোলা হবে না। অলটারনেট পদ্ধতিতে দোকান খোলা হবে।

[ আরও পড়ুন: এক বছর ধরে মেলেনি বেতন, কিডনি বিক্রি করতে চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট BSNL কর্মীর ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ