রঞ্জন মহাপাত্র, দিঘা: ঘরের কাছে সমুদ্র মানে বাঙালির গন্তব্য দিঘা। যাতায়াতের সুবিধা, খরচও নাগালে। এমন নানাবিধ কারণে বারবার গেলেও অনেকের কাছে একঘেয়ে মনে হয় না দিঘাকে। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সৈকত শহরকে ঘিরে আবেগ তাই একটু বেশি। দিঘার চালচিত্র আমূল বদলে গেলেও এই জনপদ যেন নিজের পরিচয় পাচ্ছিল না। অবশেষে চলতি বিচ ফেস্টিভ্যালে সেই আক্ষেপ মিটল। দিঘাকে নিয়ে তৈরি হল থিম সং।
[সৈকতে একসঙ্গে ৪ হাজার মহিলার শঙ্খধ্বনি, গিনেসে নাম চায় দিঘা]
দিঘায় আয়োজিত সৈকত উৎসব উপলক্ষ্যে বইমেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেল এই থিম সং। স্থানীয় এক সংস্থার তরফে মাস কয়েক আগে এই পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তাদের মনে হয়েছিল দিঘাকে নিয়ে পর্যটকদের প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে।সৈকত শহরকে নিয়ে গান বাঁধলে কেমন হয়? মূলত এই ভাবনা থেকে মাস দুয়েক ধরে চলে গান লেখা এবং সুর তোলা। গোটা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনায় ছিলেন সাংবাদিক রঞ্জন মহাপাত্র। গীতিকার কাঁথির গৌতম বেরা এবং সুর ও কন্ঠ দেন কলকাতার অভিজিৎ সরকার। সহযোগিতায় ছিলেন কনিষ্ক মাইতি, সজল মাইতি ও পঙ্কজ দাশরথী। গোটা কর্মকাণ্ডের পৃষ্ঠপোষক সুমন দাস। নতুন প্রজন্মের এই উৎসাহ দেখে তাদের পাশে ছিলেন জেলাশাসক ডাঃ রশ্মি কমল। তিনি থিম সংয়ের উদ্বোধন করেন। এই থিম সংয়ে বদলে যাওয়া দিঘার কথা বলা হয়েছে। বিচ ফেস্টিভ্যালে এই গান বাজবে। বছরের অন্যান্য সময়েও ওল্ড ও নিউ দিঘায় শোনা যাবে এই থিম সং। নতুন প্রজন্মের এই শিল্পীরা শুধু আবহ সঙ্গীত বানিয়ে থামছেন না। তারা আগামী বছরের পুজোয় সময় দিঘা নিয়ে আরও পাঁচটি গান বাঁধতে চলেছেন। যা অডিও এবং ভিস্যুয়াল দুই মাধ্যমেই মিলবে। নতুন থিম সং নিয়ে ইতিমধ্যে পর্যটকদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন এধরনের আবহ সঙ্গীত সৈকত শহরের মেজাজ বদলে দিয়েছে। যার ফলে দিঘা নিজস্ব পরিচয় পাবে।
[ছুটিতে দিঘার হোটেলের ভাড়া আকাশছোঁয়া, কোন চক্র সক্রিয় জানেন?]
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন। সৈকত শহরকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিতে তাঁর নির্দেশে একাধিক প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। যার ফলে বদলে গিয়েছে দিঘা। স্রেফ সমুদ্রে স্নান আর হোটেলে থাকার মধ্যে আর আটকে নেই মোহনার পার। এখন রয়েছে হরেক বিনোদনের ব্যবস্থা। পর্যটকদের জন্য দিঘায় শুরু হয়েছে সৈকত উৎসব। এই উৎসবের অঙ্গ হিসাবে একসঙ্গে সৈকতে ৪ হাজার মহিলা শাঁখ বাজিয়েছেন। যা গিনেস বুকে নাম তোলার চেষ্টা চলছে। সেই ছন্দে এবার থিম সং দিঘাকে অন্য রূপ দেবে বলে মনে করেন হোটেল মালিক থেকে পর্যটকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.