Advertisement
Advertisement
Coronavirus

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও রোগী দেখছেন চিকিৎসক! তুমুল উত্তেজনা দেগঙ্গায়

স্থানীয়দের বিক্ষোভের পরে ওই চিকিৎসককে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।

Doctor allegedly check up patients after being tested COVID-19 Positive in North 24 Parganas | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 8, 2022 1:57 pm
  • Updated:January 8, 2022 2:19 pm

অর্ণব দাস, বারাসত: করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ব্যাপক হারে সংক্রমিত হচ্ছেন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনভাবে চলতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনার এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ উঠল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হওয়ার পরও এক চিকিৎসক কাজ করে যাচ্ছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগের সত্যতাও স্বীকার করে নিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক। যদিও এ প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

কাঠগড়ায় উঠেছে দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে করোনা পজিটিভ (COVID-19 Positive) হওয়ার রিপোর্ট পেয়েছিলেন চিকিৎসক। তার পরও রাত পর্যন্ত জরুরি বিভাগে রোগী দেখেন বলে দাবি রোগীর পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি জানতেন। তিনিই কার্যত চাপ দিয়ে ওই করোনা আক্রান্ত চিকিৎসককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কাজ করাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দা থেকে রোগীর আত্মীয়-স্বজন। হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।  খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোভিডবিধিতে সামান্য ছাড়, শর্তসাপেক্ষে সালোঁ ও বিউটি পার্লার খোলার অনুমতি দিল রাজ্য]

এলাকাবাসী পিন্টু মণ্ডল, রবিউল ইসলামদের অভিযোগ, মাস্ক না পরলে পুলিশ এসে আমজনতাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আর এক জন করোনা আক্রান্ত ডাক্তার রোগীদের চিকিৎসা করছেন, এ কেমন বিচার? এভাবে চলতে থাকলে হাসপাতালের রোগীরা, এমনকী তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও করোনা আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে এর জবাব দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন তাঁরা।

Advertisement

এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসককে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এবার করোনায় প্রায় সব চিকিৎসক সংক্রমিত হচ্ছেন।আরেকজন ডাক্তারের ব্যবস্থা না করে আমাকে ছুটি দেওয়া যেত না। আমরা তো জরুরি ডিউটি করি। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছিলাম। বাকিটা উনি বলতে পারবেন।” কিন্তু বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে রাতেই ওই চিকিৎসককে আইসোলেশন পাঠানো হয়।

[আরও পড়ুন: Covid-19: রাজ্য মন্ত্রিসভায় আবারও করোনার থাবা, দ্বিতীয়বার আক্রান্ত দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ