BREAKING NEWS

৭ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

শিলিগুড়ি থেকে উদ্ধার ৩৩ কেজি ৫৩২ গ্রাম সোনা, পাকড়াও ভিনরাজ্যের চার পাচারকারী

Published by: Sayani Sen |    Posted: October 3, 2020 6:53 pm|    Updated: October 3, 2020 6:53 pm

DRI arrested four person from Siliguri in gold smuggling case ।Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: চলতি বছর অভিযান চালিয়ে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা বা ডিআরআই (DRI)। শিলিগুড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৩ কেজি ৫৩২ গ্রাম সোনার বাট সহ চার ভিনরাজ্যের পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ডিআরআই। যার বাজারমূল্য ১৭ কোটি ৫১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। উদ্ধার হয়েছে ২০২টি সোনার বাট। সাম্প্রতিককালে ওই একটি অভিযানে সবচেয়ে বেশি সোনা উদ্ধার হয়েছে দাবি করেছেন ডিআরআই আধিকারিকরা। তবে সাফল্য পেলেও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা। শিলিগুড়িকে কখনও করিডর করে আবার কখনও শিলিগুড়িতে সোনার কনসাইনমেন্ট মজুত করে ভিনরাজ্যে বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে পাচারের ছক কষছে পাচারকারীরা। রেলপথ এবং সড়ক পথে সোনা পাচারের অভিনব এবং নিত্যনতুন কায়দা আনছে দুষ্কৃতীরা। সেজন্য ডিআরআই আধিকারিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের শিলিগুড়ি (Siliguri) দিয়ে ভিনরাজ্যে সোনা পাচারের ছক কষেছে পাচারকারীরা। সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী গান্ধীজয়ন্তীর দিন শিলিগুড়ি সংলগ্ন ফুলবাড়ি এলাকায় ফাঁদ পাতে ডিআরআই। গোয়ালটুলি মোড়ের কাছে সন্দেহভাজন একটি ট্রাক আটক করেন তাঁরা। জিজ্ঞাসাবাদ করলে কথায় অসঙ্গতি মেলে। এরপর ট্রাকে তল্লাশি চালালে চালকের ঘরে একটি বাক্স থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়। ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রত্যেকেই রাজস্থানের বাসিন্দা। ধৃতদের মধ্যে নিশান্ত কুমার ও দীপক কুমার রাজস্থানের গঙ্গানগরের বাসিন্দা। ধৃত রাজু রাম ও সুনীল কুমার রাজস্থানের নওসিটির বাসিন্দা। ধৃতদের শনিবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: ভাতারের ওসি মিথ্যা গাঁজার কেস দেন! মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রীর ফেসবুক পোস্টে বিতর্ক]

ডিআরআইয়ের আইনজীবী ত্রিদীপ সাহা বলেন, “ওই বিপুল পরিমাণ সোনা (Gold) রাজস্থানে পাচারের ছক কষা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাচারে ব্যবহার করা ট্রাকটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারের সীমান্ত পার করে ওই সোনা মণিপুরে পৌঁছয়। সেখান থেকে সড়কপথে ওই সোনা ট্রাকে করে নিয়ে আসা হয়েছিল। যদিও ধৃতরা অসমের গুয়াহাটি থেকে পাচারকারী হিসাবে কাজ শুরু করেছিল। ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে ডিআরআই ৩০০ কেজি সোনা এই রাজ্য এবং সিকিম থেকে একাধিক অভিযানে উদ্ধার করেছে। যার মূল্য ১১৫ কোটি। এই বছরে এখনও পর্যন্ত ৫২ কোটি টাকার ৯৮ কেজি সোনা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনা মূলত রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়ার বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘কৃষকের থেকে কেনা আলুর কাটমানি যায় কালীঘাটে’, মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দিলীপের]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে