সৌরভ মাজি, বর্ধমান: লক্ষ্য একটাই, পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Labourers) কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। এই লক্ষ্য পূরণে এবার ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ওই সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের চর্মজাত বিভিন্ন কাজে সুযোগ করে দিতে চাইছে জেলা প্রশাসন।
সাম্প্রতিক করোনা আবহে দেশজুড়ে তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউনে সবচেয়ে বিপর্যস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন। ভিনরাজ্যে কর্মরত প্রচুর শ্রমিক কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন, অনেকে ভিনরাজ্যে চর্মজাত সামগ্রী তৈরির কাজ করতেন। ঘরে ফিরে জেলায় থেকেও তাঁরা যাতে সেই কাজই করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘করোনার মেয়াদ ১ বছর’, ফের বেলাগাম অনুব্রত, রেশনের ব্যাখ্যা দিয়ে বাড়ালেন দলের অস্বস্তি]
এক একটি ব্লকে একেক ধরনের পেশার জন্য পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্র গড়া হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, ভিনরাজ্যে যাঁরা চর্মজাত সামগ্রী যেমন ব্যাগ, জুতো বা অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করতেন, তাঁদের সেই কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ হয়েছে, সব হিসেব নেব’, হুঁশিয়ারি দিলীপের]
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ চাইলে নিজের ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রশাসন সব ধরনের সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণের পর কেউ কোনও সংস্থার অধীনে কাজ করতে চাইলে, ওই সংস্থা সহযোগিতা করবে। লকডাউনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রায় ২৩ হাজার ৭৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাঁদের একটা বড় অংশ চর্মজাত সামগ্রীর কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পেশায় পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বিকল্প ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।