ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: লোকসভা ভোটের প্রশিক্ষণে না আসায় শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়ছেন প্রায় ২৪০০ সরকারি কর্মচারী। সব জেলা মিলিয়ে এই সংখ্যা হাজার কুড়িতে পৌঁছে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কমিশনের কর্তারা। তবে ভোটের ডিউটির চিঠি দেওয়ার পরও যাঁরা উপযুক্ত কারণ না দেখিয়ে দায়িত্বে থাকবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সেই নির্দিষ্ট সরকারি কর্মীর সার্ভিস বুকে লাল দাগ পড়তে পারে। যার ফলে অবসরের পর পেনশন পেতে সমস্যায় পড়তে পারেন তাঁরা।
প্রতি বছরই এমনভাবে নানা অজুহাত দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এবার এলআইসি বা অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থা থেকেও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। গোটা রাজ্যে পাঁচ লক্ষেরও বেশি ভোট কর্মী দরকার পড়ে। বিভিন্ন কাজের নিরিখে কয়েক দফা বা এক-দু’দফায় প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। কন্ট্রোল ইউনিটের দায়িত্বে থাকাদের একদফা প্রশিক্ষণ হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া থেকেও কেউ কেউ নিজেকে সরিয়ে রাখতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে সেই সবের উল্লেখ করা হয়ে থাকে। মূলত শারীরিক অসুস্থতাকে একমাত্র জুতসই কারণ হিসাবে ধরা হয়। মা-বাবা বা অত্যন্ত নিকট পরিজন হাসপাতালে ভরতি থাকলে বা অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে এবং ডাক্তারের নিষেধে দূরে ভোটের কাজের গোলমাল থেকে সরে থাকার পরামর্শ থাকলে কমিশন ছাড় দিয়ে থাকে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে জেলাশাসকই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। শিলিগুড়িতে এসজেডিএ’র মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনায় অনুপস্থিত ২৪০০ ভোটকর্মীকে শোকজ করা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জেলায় বাড়তি কুড়ি শতাংশ কর্মী উপস্থিত রাখতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওই নির্দেশে ৬০ হাজার ভোট কর্মীর প্রয়োজন। সেই মতো ৪১ হাজার ভোট কর্মীকে প্রশিক্ষণে ডাকা হয়। কিন্তু প্রশিক্ষণে ২৪০০জন অনুপস্থিত থেকে যান। এই অনুপস্থিতদের শোকজ নোটিস দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামী ৬ এবং ৭ এপ্রিল আবার প্রশিক্ষণ। তখন অনুপস্থিত থাকলে কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোরতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.