সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে, সেই চিন্তার নিরসন করতে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য নতুন গাইডলাইন জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। তার আগে এ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তর পরীক্ষা বিধি স্থির করেছিল। এই পরিস্থিতিতে UGC’র গাইডলাইনে তীব্র আপত্তি তুলল রাজ্য। আপত্তির কথা জানিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন।
Manish Jain, Principal Secretary of West Bengal Government writes to Union HRD Ministry to ‘re-examine the entire matter’ regarding the revised guidelines issued by UGC to all universities and colleges for conducting final semester/year examination by September 2020.
— ANI (@ANI) July 9, 2020
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্বের চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হোক অথবা অনলাইনে – তা স্থির করার ভার ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের উপর। অন্যদিকে, এ রাজ্যের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষা এ বছর না নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল শিক্ষা দপ্তর। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগেকার সেমেস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ণের কথা বলা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ফের করোনার থাবা তৃণমূলের অন্দরে, এবার আক্রান্ত কুমারগঞ্জের বিধায়ক]
এখন UGC’র নতুন গাইডলাইন প্রকাশিত হওয়ার পর তা মেনে চলার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধার মুখে পড়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তা সত্ত্বেও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা নেওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষদের মতে, করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে পরীক্ষা নেওয়ার কোনও অবকাশ নেই। তাই রাজ্যের বিধি অনুযায়ীই মূল্যায়ণ হোক পড়ুয়াদের।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার নেই, পরিকাঠামোর অভাব, বারাসতের কোভিড হাসপাতালের সুপারকে শোকজ]
এনিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একমত হওয়ায় এবার মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি পাঠাল রাজ্য। উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব মণীশ জৈন চিঠি লিখে ইউজিসি’র গাইডলাইন পুনর্বিবেচনার আবেদন করলেন।