সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বুলবুলের দাপটে ডুবে যাওয়া দু’টি ট্রলার থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হল মোট দশজন মৎস্যজীবীর দেহ। নিখোঁজ রয়েছেন ওই দুই ট্রলারের অন্তত ছ’জন মৎস্যজীবী। শুক্রবার ভোরে এফ বি মা চন্দ্রাণী ট্রলারের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় আরও চার মৎস্যজীবীর মৃতদেহ। তার আগে বৃহস্পতিবার রাতে এফ বি সাগরকন্যা-২ ট্রলার থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
বুলবুলের দাপটে নামখানার ফ্রেজারগঞ্জের কাছে পাতিবুনিয়ায় চিনাই নদীতে ডুবে গিয়েছিল এফ বি মা চন্দ্রাণী ট্রলার। সেই ট্রলারে থাকা ন’জন মৎস্যজীবীর মধ্যে তিন জনের দেহ আগেই উদ্ধার হয়। পাঁচদিন ধরে লাগাতার চেষ্টার পর ডুবে যাওয়া ওই ট্রলারটি উদ্ধার করে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং সুন্দরবন পুলিশ জেলার কর্মী এবং আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরাও। উদ্ধার হওয়া ওই ট্রলারটি শুক্রবার ভোরে টেনে ঘাটে নিয়ে আসা হয়। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ট্রলারের কেবিন ভেঙে ভিতর থেকে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহগুলি পুরোপুরিভাবে পচাগলা অবস্থায় ছিল। মৃত শেখ আলমগীর কাকদ্বীপ মাইতির চক এলাকার কালিনগরের বাসিন্দা। শেখ আরশেদ এবং শিবু গোলদারও কাকদ্বীপের বাসিন্দা। আরেকটি মৃতদেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। কাকদ্বীপ ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, ওই ট্রলারের ভিতর এখনও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কারণ ওই ট্রলারে থাকা বাকি দু’জন মৎস্যজীবীর এখনও কোনও হদিশ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার রাতেই ছাইমারি দ্বীপের কাছ থেকে উদ্ধার হয় সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া সাগরকন্যা-২ ট্রলারের তিন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ। প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে মৎস্যজীবীরা ওই এলাকা থেকে দেহগুলি উদ্ধার করে রায়দিঘি ঘাটে নিয়ে আসেন। প্রসঙ্গত, সাগরকন্যা-২ ট্রলারটি ঝড়ের রাতে সুন্দরবনের কাছে বিদ্যা নদীতে ডুবে যায়। ওই ট্রলারটিতে ছিলেন সাতজন মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে তিনজনের দেহ উদ্ধার হলেও ওই ট্রলারের চার মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। জানা গিয়েছে, সাগরকন্যা-২ ট্রলারের নিখোঁজ থাকা যে তিনজন মৎস্যজীবীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁরা রায়দিঘির কঙ্কন দিঘির বাসিন্দা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.