ছবি: প্রতীকী
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চায় সে। ব্লক করে দিয়েছেন নম্বর। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে অভিমানে আত্মঘাতী তরুণ। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকাকালীন মৃত্যু গাইঘাটার সুটিয়ার যুবকের। ছেলের মৃত্যু সংবাদে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।
উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার সুটিয়ার বাসিন্দা সজল কুমার বিশ্বাস। কর্মসূত্রে ওই তরুণ মুম্বইতে থাকতেন। বাণিজ্যনগরীর একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি। সজলের পরিবারের দাবি, গত ৬-৭ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই যুবক। পাশের গ্রামের এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। মেয়েটিকে সজলের পরিবারের লোকজনও চিনত। আসাযাওয়াও ছিল তার। বেশ দিনকয়েক আগে সজলের মা বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ওই তরুণী তাঁদের বাড়িতে আসেন। রান্নাবান্নাও করেন। ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার সম্পর্কে কোনও গরমিল খুঁজে পাননি সজলের পরিজনেরা।
তবে হঠাৎই তাঁরা জানতে পারেন, ওই তরুণীর অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। তরুণীই নাকি নিজে মুখে সজলকে সেকথা জানান। প্রেমিকার বক্তব্য মাকে জানিয়েছিলেন সজল। তিনি জানান, প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে স্থির হয়েছে। তাই আর সম্পর্ক রাখতে চান না। এমনকী সজলের ফোন নম্বরও ব্লক করে দিয়েছিলেন তরুণী। সম্পর্কের টানাপোড়েনে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সজল। তবে মাকে কথা দিয়েছিলেন, খুব তাড়াতাড়ি মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠবেন তিনি।
এই টানাপোড়েনের মাঝে বৃহস্পতিবার রাতে ভিনরাজ্যে বসবাসকারী ছেলেকে ফোন করেন সজলের মা। তবে ফোন ধরেননি তিনি। সন্দেহ হয় সজলের পরিবারের। এরপর শুক্রবার ভোররাতে সজলের বাড়িতে একটি ফোন আসে। ওই ফোনের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যু সংবাদ পান তাঁরা। জানতে পারেন, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সজল। যদিও তরুণীর পরিবারের দাবি, সজল তাঁর শুধুমাত্র বন্ধু ছিলেন, প্রেমিক না। তরুণীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত সজলের পরিজনেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.