Advertisement
Advertisement

Breaking News

GNLF

মোর্চার ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’র সুযোগে পাহাড়ে সক্রিয় GNLF, ‘স্বাভিমান’ বাঁচাতে জনসভার ডাক মন ঘিসিংয়ের

বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে লড়তে পারেন GNLF নেতারা, নয়া সমীকরণ পাহাড়ে!

GNLF favours BJP ahead of upcoming assembly polls in Bengal | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 28, 2021 10:38 am
  • Updated:March 17, 2021 3:08 pm

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: গোর্খা জনজাতির আত্মসম্মান বজায় রাখার ডাক। দীর্ঘদিন বাদে পাহাড়ে প্রকাশ্যে জনসভার ডাক দিল সুবাস ঘিসিংয়ের গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট বা জিএনএলএফ। সুবাসের মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে মন ঘিসিংই এখন GNLF-এর মুখ। দার্জিলিং মোটরস্ট্যান্ডে আগামী ৩১ জানুয়ারি সভার ডাক দেওয়া হয়েছে বিজেপির জোটসঙ্গীর তরফে। মূল বক্তা মন ঘিসিংই (Man Ghising)৷

২০১৭ সালে গুরুং পাহাড় ছাড়ার পর মোর্চার বিনয় তামাং (Binay Tamang) গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূলের পাশে ভিড়েছিলেন মন ঘিসিং। কিন্তু ক্রমে শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তাঁরা চলে যান বিজেপি শিবিরে। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে GNLF বিজেপিকেই সমর্থন করেছে। আবার পালটা বিজেপির (BJP) টিকিট থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতে এসেছেন GNLF নেতা নীরজ জিম্মা। এই মুহূর্তে পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুই শিবিরে বিভক্ত। বিনয় তামাং, বিমল গুরুং শিবিরের এই বিবাদকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের জনসমর্থন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন মন ঘিসিং। GNLF নেতারা বলছেন, পাহাড়ে এখন ব্যক্তি কেন্দ্রিক রাজনীতি হচ্ছে। মোর্চা নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা ভেবে গোর্খা জনজাতির সার্বিক স্বার্থকে উপেক্ষা করছেন। তাই সুবাস ঘিসিংয়ের আদর্শ পুনরুদ্ধারের প্রয়োজন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটের আগে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ, ফেব্রুয়ারিতে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা]

বিমল গুরুংয়ের (Bimal Gurung) আগমনে পাহাড়ের রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। বিনয় তামাং, অনীথ থাপারা আগে থেকেই তৃণমূলের পাশে ছিলেন। গত লোকসভা নির্বাচনে আড়াল থেকেই বিজেপিকে সমর্থন করেছেন গুরুং পন্থীরা। তারই ফলশ্রুতিতে উনিশের নির্বাচনে দার্জিলিংয়ে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন বিজেপির রাজু সিং বিস্তা। কিন্তু গুরুং এবার প্রকাশ্যে তৃণমূল শিবিরে। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সরাসরি গুরুংয়ের আগমনে পাহাড়ে তৃণমূল অনেকটাই শক্তিশালী হল। কিন্তু, পাহাড়ের বাস্তব ছবি বলছে, সমীকরণ অতটাও সহজ নয়। কারণ, পাহাড়ে মোর্চা এখন স্পষ্টতই দুই শিবিরে বিভক্ত। এখনও পর্যন্ত বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং, দুই গোষ্ঠীই প্রকাশ্যে পৃথকভাবে তৃণমূলকে সমর্থন করলেও, শেষপর্যন্ত ভোটবাক্সে কী হবে বলা যাচ্ছে না। তাছাড়া, পাহাড়বাসী গত দুটি লোকসভা এবং ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির পদ্মে ভোট দিয়েছে। এবার গুরুংরা তৃণমূলে গেলেও ভোটাররা নেতাদের অনুসরণ করবেনই, তা নিশ্চিতভাবে কেউই বলতে পারছে না। অনেক গুরুং অনুগামীই এই মুহূর্তে সরাসরি বিজেপিতে। প্রকাশ্যে বিজেপির তরফে কিছু না বলা হলেও, সূত্রের খবর পাহাড়ের আসনগুলিতে বিজেপির টিকিটে লড়তে পারেন GNLF নেতারাই। তাঁদের ধারণা, আসন্ন বিধানসভায় একপেশে তৃণমূলের পক্ষে ভোট হবে না। উনিশের উপনির্বাচনের মতো বিজেপির টিকিটে লড়লে তাঁদের প্রার্থীরা কঠিন লড়াই দেবেন।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ